নন্দীগ্রামে নতুন করে পানি বৃদ্ধিতে : বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট ২০১৮ | ৪৫১

বগুড়ার নন্দীগ্রামে নাগর নদীর উজানের ঢলে ও খালের পাড় ভেঙে উপজেলার ভাটরা ও থালতা মাঝগ্রাম ২টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

গত দুই দিনে আরও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এরলাকা প্লাবিত হচ্ছে।সেই সাথে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও মানুষের দূর্ভোগ। বিশুদ্ধ খাবার ও পানির অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পানি বন্দী মানুষ। মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।

ফলে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যর চরম সংকটে পড়েছে পানি বন্দী মানুষ। গত ১ সপ্তাহ থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। মাঠ গুলো পানিতে থৈ-থৈ করছে।

সদ্য রোপনকৃত আমন আবাদি জমি গুলো তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ কৃষক জমি রোপন করতে পারেনি। এখন তাদের চারা গুলো পানিতে পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে তাদের জমিগুলো অনাবাদী থেকে যাওয়ার সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিনে শতাধিক পুকুর-পুস্কনি ডুবে গিয়েছে।

নতুন করে আরও অনেক পুকুর ডুবে গিয়ে মাছ গুলো বের হয়ে গেছে। গৃহপালিত পশুগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নতুন করে লোকালয়ের বাড়ী-ঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় বাড়ী-ঘর গুলো ধ্বসে যাওয়ার ঝুকিতে রয়েছে।

এছাড়া নতুন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় ছাত্র/ছাত্রীরা পড়াশোনা নিয়ে আরও বিপাকে পড়েছে। নতুন করে প্লাবিত গ্রাম গুলো হলো, রুস্তমপুর, চাতারাগাড়ী, মূলকুড়ি, ডোহাবাড়ী প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভাটরা ইউনিয়নের মির্জাপুর, সিমলা, নামুইট, মাইরয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

রুস্তমপুর গ্রামের জলিল হোসেন জানান, নতুন করে পানি বাড়ায় আরও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কিভাবে বাঁচব বুঝতে পারছিনা। এখনও কেউ খোঁজ নিতে আসেনি।

৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, দৈয়ানার খালের পাড় ১৫ থেকে ২০ হাস ধসে যাওয়ায় লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এত করে কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। পাকা সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংঙ্খা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহা. মশিদুল হক বলেন, কৃষকদের প্রায় ২০০ হেক্টর জমির আমন চারা তলিয়ে গেছে।