পাঁচ মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চকরিয়াবাসির এক বেদনাদায়ক অধ্যায় -উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম

এম. জুনাইদ উদ্দিন, চকরিয়া
প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, রোববার, ২২ জুলাই ২০১৮ | ৪৩৭
মাতামুহুরী নদীতে পড়ে যাওয়া ফুটবল তুলে আনতে গিয়ে চোরাবালিতে আটকে পানিতে ডুবে প্রাণ প্রদীপ নিভে যাওয়া চকরিয়া গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্কুলের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের ছেলে সায়ীদ জাওয়াদ অরবির জেয়াফত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শোকাহত পরিবার সদস্যদেরকে সমবেদনা ও শান্তনা জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
 
২০জুলাই শুক্রবার ছিল শিক্ষার্থী অরবির জেয়াফত অনুষ্ঠান। এদিন দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম শিক্ষার্থীর অরবির গ্রামের বাড়ি সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর জমিদারবাড়তে পৌছেঁন। ওইসময় তিনি অরবির শোকাহত বাবা গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দেন। পরে তিনি পরিবারের সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
 
শিক্ষার্থীর অরবির বাড়িতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয়  সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক আজিম, উপজেলা সনাকের সভাপতি অধ্যাপক একেএম সাহাবুদ্দিন, ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদুল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রোস্তম শাহরিয়ার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হোছাইন, মাতামুহুরী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজল কাদের, যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আদর। এছাড়াও জেয়াফত অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিক্ষক, আলেম ওলামাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
 
জেয়াফত অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, চকরিয়া গ্রামার স্কুলের মেধাবী পাঁচ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার মধ্যদিয়ে রাক্ষুসে মাতামুহুরী নদীর ইতিহাসে নতুন করে যুক্ত হলো মাতামুহুরী ট্রাজেডি। এটা আমাদের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ঘটনা।
 
এ ধরণের একটি দুর্ঘটনায় মেধাবী পাঁচ শিক্ষার্থীর বেদনাদায়ক চলে যাওয়া চকরিয়াবাসির অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা বেঁচে থাকলে চকরিয়াবাসি মেধার সম্পদে ভরপুর হতো। কারণ প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থী একদিন স্বমহিমায় নিজেকে তৈরী করতো এক একজন দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে। হতে পারতো ম্যাজিষ্ট্রেট কিংবা সুদক্ষ প্রকৌশলী অথবা নামকরা ডাক্তার। 
 
তিনি বলেন, অকালে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের এই শুন্যতা যেমন পরিবারকে পীড়া দিচ্ছে, তেমনি বেদনাদায়ক ঘটনাটি চকরিয়া-পেকুয়া তথা পুরো কক্সবাজার জেলাবাসিকে আবেগ্লাপুত করেছে। তিনি ওইসময় শিক্ষার্থীদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আমরা আল্লাহ পাকের দরবারে তাদের আত্মার মাগফেরাত শান্তি কামনা করছি। 
 
উল্লেখ্য গত ১৪ জুলাই চকরিয়া গ্রামার স্কুলের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শেষে দেড়টার দিকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মাতামুহুরী নদীর জেগে উঠা চরে খেলতে যায়। ওইসময় খেলতে খেলতে বল গিয়ে নদীতে পড়ে। বলটি তুলে আনতে গিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থী নদীর পানিতে ডুবে যায়।
 
ঘটনার খবর পেয়ে তাক্ষনিক চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম উপস্থিত থেকে স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। পরে জেলেরা জাল ফেলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে চট্টগ্রাম থেকে তিনজনের ডুবুরী দল এসে রাতে সাড়ে ১১টা ও রাত ১২টায় আরো দুটি মরদেহ উদ্ধার করে