বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্কে পাঁচ মাসের অন্ত:সত্তা যুবতী


বগুড়ায় বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্কের পর পাঁচ মাসের অন্ত:সত্তা হয়েছে এক যুবতী। সে ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্যাতিতার গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন গ্রাম্য মাতব্বরদের বিরুদ্ধে।
ধর্ষিতার পরিবার গরীব, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার পায়তারা করছে গ্রাম্য মোড়লরা। বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের চাঁদমুহা পশ্চিমপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই গ্রামের জনৈক খোরশেদ আলীর যুবতী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে দিনের পর দিন অভেধভাবে শারীরিক মেলামেশা করে একই গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে জামিল মিয়া।
এ ঘটনায় গ্রামের অপর এক ব্যক্তি বাছেদের ছেলে ফারুককে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য মোড়লরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোকুল ইউনিয়নের চাঁদমুহা পশ্চিমপাড়ার জনৈক খোরশেদ আলীর মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে একই এলাকার আব্দুল বাছেদের ছেলে জামিল মিয়া একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করে।
এতে ওই যুবতীর গর্ভে সন্তান এলে এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফয়েজ উদ্দিনসহ ১০/১২ মাতব্বর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে গ্রাম্য মোড়লরা ভুক্তভোগীকে টাকার লোভ দেখিয়ে এবং থানায় মামলা না করতে ভয়ভীতি দেখায়। ধর্ষক জামিলের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য একই এলাকার আরেক বাছেদের ছেলে ফারুককে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে রবিবার সন্ধায় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ওই এলাকায় গেলে গ্রাম্য মোড়ল সাবেক ইইপি সদস্য ফয়েজ উদ্দিন সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলে, তোরা কার অনুমতি নিয়ে আমার এলাকায় এসেছিস, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। এই বিষয়ে পত্রকায় সংবাদ পরিবেশন করলে তোদের চমৎকার ব্যবস্থা আমি করব।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রাম্য মোড়ল ফয়েজের নেতৃত্বে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাল্য বিবাহ সহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে। গোপনে আঁতাত করে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বড়বড় নৈতিক স্খলনের মত ঘটনা রাতারাতি সমাধান করে এই মাতব্বর। ভাবখানা যেন এমনই, ওই এলাকায় কোন আইন-আদালত চলে না।
সোমবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় গোকুল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ বলেন, শুনেছি ঘটনাটি ঘটিয়েছে চাঁদমুহা পশ্চিমপাড়ার জামিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ওই গ্রামের ফারুককে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে একটি মহল। ফারুক আমার কাছে অভিযোগ করেছে।
ধর্ষিতা ওই যুবতীর পরিবার আইনগত সহযোগিতা চাইলে, আমি সব ধরনের সহায়তা করব। এ প্রসঙ্গে বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, যদি কেউ ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপ বা গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।