বিভিন্ন পূজা মন্ডপে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি

বাসাইলে ৫৪টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দূর্গাপূজা

বাসাইল সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ২৪৭

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্ম হিন্দু স¤প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা । টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় পুজা মন্ডপ সমুহে ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন পুরোদমে চলছে রংতুলির আঁচরে শিল্পনৈপুণ্য ফুটিয়ে তোলার কাজ।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বন সোমবার দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ছয় দিনের শারদীয় দূর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।

২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দেবীর মহা-ষষ্ঠী পূজা ও দেবীর আমন্ত্রণ অধিবাস, ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দেবীর মহাসপ্তমী, ২৮ সেপ্টম্বর বৃহঃবার মহাষ্টমী, ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মহানবমী, ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিজয়া দশমী, শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দূর্গোৎসব। উপজেলায় এবার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় মোট ৫৪টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

বছর ঘুরে আবার দূর্গতি নাশিনী দশভুজা দেবী দূর্গা আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শান্তির বার্তা নিয়ে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে দেবীর আগমনের ঢামাঢোল। এবার দেবী দূর্গার নৌকায় আগমন। আবার ফিরে যাবেন ঘোটকে। আনন্দে মেতে উঠবে হিন্দু স¤প্রদায়ের দূর্গাপূজারী মানুষ।


উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ সুনীল রায় স্বপন বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সকলের মধ্যে সা¤প্রদায়িক স¤প্রতি থাকার কারণে হিন্দু স¤প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে বলে আশা করছি । এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

বাসাইল থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক বলেন, এ বছর উপজেলায় ৫৪টি মন্দিরে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার পূজা মন্ডপগুলোতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে পযাপ্ত পরিমানে আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এদের সাথে বাসাইল থানা পুলিশের সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ঝুকিপূর্ণ মন্ডপ গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি র‌্যাবের টহলও অব্যাহত থাকবে।

বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাফিজা আক্তার জানান , পূজা উদযাপনের সার্বিক পরিস্থিতি ভাল । আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ডপে ঘুরে ঘুরে স্টাইকিং ফোর্সের টহল থাকবে এবং তাৎক্ষণিক অপরাধ মোকাবেলায় ভ্রাম্যমান আদালত চালু থাকবে।