নন্দীগ্রামের জনগোষ্ঠী
জনবল সংকটে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে


বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় জনবল সংকটের কারনে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নন্দীগ্রামের আড়াই লাখ জনগোষ্ঠী। প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, নন্দীগ্রাম উপজেলায় মোট ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। সেসব ক্লিনিকে যথেষ্ঠ জনবল না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা দারুন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
থানার ৫টি ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে ৫জন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু আছে ৩জন ফলে ২টি পদ শূন্য রয়েছে। কমিউনিটি হেলথ প্রোপাইটর (সি, এইচ, সি, পি) এর ৭টি পদ শূন্য রয়েছে। যার কারনে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কাঙ্খিত সরকারী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হত দরিদ্র জনগন সরকারী সেবা না পেয়ে বিভিন্ন ডাক্তারের নিকট থেকে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা ফি দিয়ে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। অনেকে টাকা দিতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় অকালে মৃত্যু বরন করছে। অনেকে আফসোস করে বলেন ক্লিনিক আছে ডাক্তার নেই লোকজন নেই সেবা পাবো কিভাবে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত।
এখানে এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা ৯জন কিন্তু আছে মাত্র ৩ জন এখানেও ৬টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। একদিকে চিকিৎসক সংকট অপরদিকে এক্স-রে ও এনালাইজার মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। মেশিনগুলো বিকল থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগী রোগীদের বাইরে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করে সেবা নিতে হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপেক্সের শুরু থেকে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন নেই। এতে করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। । প্রতিদিন শত-শত রোগী আসছে অথচ হাসপাতাল থেকে কোন প্রকার ভাল সেবা পাচ্ছে না।
এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এ উপজেলার আড়াই লাখ মানুষ। তাই সচেতন মহলের দাবী অতি দ্রুত মেশিনগুলো চালু করে হাসপাতালের সেবার মান নিশ্চিত ও হাসপাতালের শূন্য পদে মেডিক্যাল ডাক্তার দেওয়া হোক। এতে করে সরকার উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তা বাস্তবায়ন করতে বেশী দিন সময় লাগবে না।
এতে করে সাধারন জনগোষ্টি দ্রত চিকিৎসা সেবা পাবে। আবার এদিকে ২০০৪ সালে নন্দীগ্রাম পৌরসভা ও উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন শতভাগ স্যানিটেশান করা হয় কিন্তু বর্তমানে এই ব্যবস্থা একবারে ভেঙে পড়েছে। গ্রামে গঞ্জে এখনো চোখে পড়ে শত শত ঝুলন্ত ও খোলা পায়খানা।ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ মারাত্বকভাবে দূষিত হচ্ছে অন্যদিকে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের প্রকোপ বেড়ে চলেছে।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, জনবল সংকটের মধ্যে দিয়েই সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি । তবে শূন্যপদে জনবল নিয়োগ করলে সেবা ও সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।