নাগরপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ


টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক নেতার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে হাত পা বেধে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিত ওই ছাত্রী (১৩) স্থানীয় আলহাজ্ব আইন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সে উপজেলার জালাই গ্রামের রশিদ সিকদারের মেয়ে।
ধর্ষক নেতা সাজ্জাত হোসেন (৩২) একই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের পুত্র। সে দপ্তিয়র ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে সোমবার ( বেলা ২টা পর্যন্ত ) ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার উপজেলার চরাঞ্চাল দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামে। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মাইন উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের পুত্র নেতা সাজ্জাত হোসেন (৩২) একই গ্রামের রশিদ সিকদারের নাবালিকা মেয়েকে প্রায়ই উত্যক্ত করত।
বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুপ্রস্তাব দিত। সাজ্জাত হোসেন গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। পরে তাকে পাশ্বর্বর্তী তোতা সিকদারের বাশবাগানে নিয়ে হাত পা বেধে ফেলে।
এ সময় ছাত্রীটি চিৎকারের চেষ্টা করলে মুখ বেধে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে ফেলে রেখে যায় পালিয়ে যায় সে। পরে ধর্ষিতার স্বজনরা অনেক খুজাখুজি করে ওই বাশবাগান থেকে তাকে আহতবস্থায় উদ্ধর করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়।
ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। মিলিত হয় একাধিকবার সালিশ বৈঠকে। বিষয়টি অমিমাংসিত থাকায় সোমবার ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার রোশনাই সিকদার বলেন, ধর্ষনের ঘটনাটি আমি ধর্ষিতার মুখ থেকে শুনেছি। এ নিয়ে এলাকায় মিমাংসার চেষ্টাও করা হয়েছে। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মাইন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
নাগরপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মীর আহম্মেদ শাহীন এ প্রসঙ্গে জানান, ঘটনার পরপরই ওই নেতাকে কেন বহিস্কার করা হবে না মর্মে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।