চকরিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নমাঠে বন্ধ হয়নি তামাক চাষ

জুনাইদ উদ্দিন
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ এএম, শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৮ | ৪৭৩
করবাজারের চকরিয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও আবাদি জমির পাশাপাশি সরকারি খাস জমি, মাতামুহুরী নদীতে জেগে উঠা বিভিন্ন পয়েন্টের চর দখল করে চলছে তামাকের চাষ। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র  সরকারি খাস জমি দখলে নিয়ে তামাক চাষে জড়িত
রয়েছেন। ফসলি জমির বাইরে গিয়ে এবছর স্কুলের কাছেই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে করেছে তামাক চাষ ।
 
উপজেলার কৈয়ারবিলইউনিয়নে পুর্ব কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই ব্যক্তি মালিকানাধীন  জমিতে করা হয়েছে তামাক চাষ। তামাক চাষ করা হলেও জড়িতদের বাধা দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা স্কুল কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  রেখা রাণী দাশ জানান,স্কুলের নিজস্ব কোন খেলার মাঠ নেই,যে জায়গাতে তামাকের চাষ হয়েছে তা ব্যক্তি মালিকানাধীন ।একারণে বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা প্রশাসন কিংবা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করেনি ।
 
জানা যায়,জমিটি স্থানীয় নিরঞ্জন দাশের। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র এসব দেখাশোনা করেন তিনি স্থানীয় কৃষককে চাষের জন্য জমিটি দেন। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সনাকের উপজেলা ব্যবস্থাপক এজেএম জাহাংগীর আলম কিছুদিন আগে তামাক চাষের দৃশ্যটি ধারণ করেন।
 
পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি পোস্ট দেন। চকরিয়ায় তামাক চাষের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে কাজ করছেন উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণ গবেষনা (উবিনীগ) নামের একটি এনজিও সংস্থা।
 
সংস্থাটির কক্সবাজারের আঞ্চলিক সমন্বয়ক মো.জয়নাল আবেদিন।তিনি বলেন, চকরিয়া উপজেলায় প্রতিবছর ফসলি জমির পাশাপাশি সরকারি খাস জমিতে তামাকের চাষ হয়। প্রতিবছর এর মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় তামাক কোম্পানির লোভনীয় ফাঁদে পড়ে চাষিরাও এ চাষে সমপৃক্ত হচ্ছেন ।
 
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর -মানিকপুর কাকারা, বমুবিলছড়ি, লক্ষারচর, ফাসিয়াখালী কৈয়ারবিল, বরইতলী ও বরইতলী ইউনিয়নে এবং পৌরসভার আংশিক এলাকায় প্রায় একযুগ আগে থেকে ফসলি জমিতে তামাকের চাষ শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয়  প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নির্লিপ্ততার সুযোগে প্রতিবছর উপজেলাজুড়ে বেড়ে চলছে তামাক চাষের বিস্তার। ফলে উপজেলার প্রতিটি জনপদে কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ।
 
এই ব্যাপারে তড়িৎ গতিতে কর্তৃপক্ষ  ব্যবস্থা না নিলে,একদিকে  তামাকের চাষে ভরপুর হবে উক্ত এলাকা - অন্যদিকে প্রতিদিনের ব্যবহার্য ফসলি জমি সারাজীবনের জন্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।