পহেলা বৈশাখে থাকবে ডিএমপির মোবাইল কোর্ট

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮ | ৪৮৬

চলতি বছর পহেলা বৈশাখের প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে ডিএমপির মোবাইল কোর্ট। এছাড়া প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থল হবে ধূমপানমুক্ত। অনুষ্ঠানস্থলে ধূমপান করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

এবার বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অন্যান্য নিরাপত্তার পাশাপাশি, বিশেষ করে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মাঠে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, শোভাযাত্রায় কেউ মুখোশ পরতে পারবে না। তবে হাতে নিয়ে থাকতে পারবে। মাথায় কে কী ব্যবহার করবে, তাদেরও একটা নামের তালিকা চারুকলা কর্তৃপক্ষকে করতে বলা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল রাতে পবিত্র শবেমেরাজ অনুষ্ঠিত হবে। ওই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে ইবাদতে মশগুল থাকবে। তাই তাঁদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সে জন্য এবারের পয়লা বৈশাখে ঢাকা মহানগরীতে উন্মুক্ত স্থানের সব অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যেই শেষ করতে হবে বলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন আছাদুজ্জামান মিয়া।

একই সঙ্গে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশ এলাকায়। পুরো এলাকায় ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মা-বোন ও শিশুদের বিরক্তির বিষয় হওয়ায় এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।  

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ইউনেস্কো স্বীকৃত মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে দেশি-বিদেশি লোকের সমাগম হবে। এটি চারুকলা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন রাস্তায় প্রদক্ষিণ করে আবার চারুকলায় এসে শেষ হবে। যে পথে শোভাযাত্রা যাবে, সেসব পথের অলিগলি ও বাসার ছাদে পুলিশ থাকবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেউ মাঝপথে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ শোভাযাত্রার চারদিক ঘিরে থাকবে পুলিশ ও সোয়াটের সদস্যরা।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। এবারে পয়লা বৈশাখ নাগরিকরা যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিতে পালন করতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে সতর্কতার জন্যই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো প্রকার হুমকি নেই, যে হুমকির কারণে বৈশাখ উদযাপন নস্যাৎ হতে পারে।

এর পরও জরুরি প্রয়োজনে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য পুলিশের বিশেষ দলসহ অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রস্তুত থাকবে। জরুরি মোকাবিলায় আশপাশের সবকটি হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। 

এর আগে রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, রাজধানীর রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও রবীন্দ্রসরোবর, হাতিরঝিলসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পয়লা বৈশাখ পালন করবেন নাগরিকরা। এসব জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

যেসব এলাকায় পানি রয়েছে, সেখানে বাড়তি হিসেবে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম প্রস্তুত থাকবে। তিনি বলেন, রমনা পার্কে প্রবেশের জন্য তিনটি, বাইরের জন্য দুটি ও প্রবেশ-বাইরের জন্য দুটি গেট থাকবে। বিকেলের দিকে সব পথ বের হওয়ার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তেমনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য তিনটি ও বের হওয়ার জন্য দুটি গেট থাকবে।