প্রচন্ড তাপদাহে ‘হিট্ স্ট্রোক’ আমাদের করনীয় !!


সামনে গ্রীষ্মকাল। প্রচন্ড সূর্যের তাপে গাছপালাসহ সবকিছু শুকিয়ে চৌচির। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে খুব মারাত্বক একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যাকে বলে ‘হিট্ স্ট্রোক’। প্রচন্ড তাপ প্রবাহে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় যাকে বলে ডি-হাইড্রেশন। এই পানি শূন্যতা মাত্রাতিরিক্ত হলে মস্তিষ্কে চাপ পড়ে এবং হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
খোলা মাঠে যারা কাজ করেন- যেমন কৃষক ভাইয়েরা, রিক্সা চালক, বাস চালকগণ, গার্মেন্টস্ এর শ্রমিক, বাচ্চারা যারা নিয়মিত রোদে স্কুলে যায় এবং দৌড় বিদ।
লক্ষনঃ শরীরের তাপমাত্রা ১০৪০ থেকে ১০৬০ ঋ পর্যন্ত উঠতে পারে।
ড় প্রচন্ড মাথা ব্যাথা
ড় বমি বমি ভাব
ড় অসংলগ্ন কথা বার্তা এবং আচরণ
ড় কোন সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা (কনফিউশন)
ড় অস্থিরতা
ড় খিচুনী এবং
ড় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়া
এসময়, শরীরের রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হৃৎসম্পন্দন কমে যায়, শরীরের দানার মতো গুটি দেখা দেয় এবং অনেক সময় মৃত্যু ও হতে পারে।
করণীয়ঃ হিট্ স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে অতিদ্রæত ঠান্ডা জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে। জামাকাপড় খুলে ঢিলা করে দিতে হবে। সম্ভব হলে ঠান্ডা পানি বা বরফ বগলের নীচে রাখতে হবে। মুখে খেতে পারলে প্রচুর পানি, জুস পান করাতে হবে। সমস্যা হলে দ্রæত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।
যারা রোদে কাজ করেন তাদের পরামর্শ হলো- প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে যাতে শরীরের আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় থাকে। মাথায় টুপি, ছাতা এবং সানগøাস ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজের ফাকে ফাকে কিছুক্ষন ঘন ঘন বিশ্রাম নেয়া উচিৎ। স্কুলের ছাত্ররা প্রখর তাপে যাতে বাইরে খেলাধুলা না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মনে রাখা উচিৎ এই হিট্ স্ট্রোক একজন স্বাভাবিক সুস্থ্য মানুষের অতি অল্প সময়ে মৃত্যু ঘটায়।
ডাঃ রিজওয়ানুল আহসান বিপুল
এমবিবিএস, ডিসিএইচ (বিএসএমএমইউ), এমপিএইচ
আবাসিক চিকিৎসক ও সহকারী অধ্যাপক
শিশু মেডিসিন বিভাগ
ঢাকা শিশু হাসপাতাল