সমবায় সমিতির প্রার্থীতা নিয়ে সভাপতি-সহ সভাপতি হাতাহাতি, উভয়েই আহত

শামসুল ইসলাম সহিদ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, সোমবার, ৯ এপ্রিল ২০১৮ | ৯৬৪

মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে সমিতির বর্তমান সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ ও সহ সভাপতি বিপ্লব মাহমুদ উজ্জলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নেতাই শারীরিকভাবে কমবেশি আহত হন বলে জানা গেছে।

সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির অফিসে অফিস চলাকালীন সময়ে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ১২ মে মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিডেটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে কমিটির বর্তমান সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল নিজেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এলাকায় সমবায়ী ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন।

সোমবারও তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে তার অফিসে ফিরেন। এর আগে থেকেই মীর শরীফ মাহমুদ তার অফিসে বসা ছিলেন। এ সময় মীর শরীফ মাহমুদ সভাপতি পদে বিপ্লব মাহমুদকে প্রতিদ্বন্দিতা না করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বিপ্লব মাহমুদ উজ্জলের টেবিলের গ্লাসও ভেঙে যায়। এতে উভয় নেতাই কমবেশি শারীরিকভাবে আহত হন। এ সময় সেখানে উপস্থিত অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাদের শান্ত করেন।

সমিতির সহ সভাপতি বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল অভিযোগ করে বলেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরপর তিনবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় বর্তমান সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ এই পদে আর নির্বাচন করতে পারবেন না। কিন্ত তিনি নিজে প্রার্থী হতে না পারলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহিরকে সভাপতি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে আমি পরপর দুই বার সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর এবার সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সমবায়ীদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য মীর শরীফ মাহমুদ বিভিন্ন সময় নানাভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার সকালেও তিনি অফিসে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করার পর উত্তেজিত হন। এক পর্যায়ে তিনি তার চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন। এতে আমি মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হই। এ সময় তার টেবিলের গ্লাসও ভেঙে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেন।

মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, মির্জাপুর বাজারে সমিতির একটি টিনশেড ঘর বিক্রি করে উজ্জল পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। এই টাকার বিষয়ে কথা বলায় উত্তেজিত হয়ে সে আমার উপর হামলা চালিয়েছেন। তার উপরে হামলার করার বিষয়ে আইনী প্রদক্ষেপ নিবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নেতাকর্মীরাই দেখবেন বলে তিনি জানান।