মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে, নিসচা চকরিয়া উপজেলা
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালির শৃঙ্খল মুক্তির দিন। বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি।রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহঙ্কারের দিন আজ।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপদ সড়ক চাই চকরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি সোহেল মাহমুদ এর নেতৃত্বে চকরিয়া কোর্টস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভোর ৭টায় শহীদদের স্মরণে পুষ্প মাল্যসহ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিসচা চকরিয়া উপজেলা শাখার পৃষ্ঠপোষক ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নোমান, চকরিয়া পৌরসভার জাতীয় পার্টির সভাপতি জসিম উদ্দিন, চকরিয়া -পেকুয়ার সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ ইলিয়াছ এর পিএস নাজেম উদ্দিন, নিসচা চকরিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন রশিদ, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক জুনাইদ উদ্দিন, কুতুব দিয়া নিসচা শাখার আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আব্দুল হামিদ।
শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি'র পরপর মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলেন উপস্থিত বক্তারা। আলোচনায় বলেন, আজ ২৬ শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। সারাদেশে গণহত্যা, ভয়াল ‘কালরাত্রি’র পোড়া কাঠ, লাশ আর জননীর কান্না নিয়ে রক্তে রাঙা নতুন সূর্য উঠেছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। ভীতবিহ্বল মানুষ দেখল লাশপোড়া ভোর।
সারি সারি স্বজনের মৃতদেহ। আকাশে কুন্ডলী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। পুড়ছে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র আঁকা লাল সবুজ পতাকা। জ্বলছে শাড়ি, খুকুর ফ্রক। চোখে জল। বুকে আগুন। জ্বলে উঠল মুক্তিকামী মানুষের চোখ, গড়ল প্রতিরোধ। মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে ‘জয় বাংলা’ তীব্র স্লোগান তুলে ট্যাঙ্কের সামনে এগিয়ে দিল সাহসী বুক।
আজ থেকে ৪৭ বছর আগের ঠিক এমনি এক ভোররাতে পাক বাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনপণ সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি।
ঘোরতর ওই অমানিশা ভেদ করেই দেশের আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার চিরভাস্বর সূর্য। বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই শুরু হয়েছিল একাত্তরের আজকের এই দিনে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মহার্ঘ স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকী।
