বর্ষা মৌসুমের পূর্বে

অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ না করলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি

এম.জুনাইদ উদ্দিন
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ ২০১৮ | ৫৪৫

বর্ষা মৌসুৃম আসার আগেই রাস্তা মেরামতের অসম্পূর্ণ  কাজ সম্পূর্ণ না করলে জনগনের কষ্টের সীমা থাকবে না।এ ব্যায়াপারে কতৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছে চকরিয়া পৌরসভার ৮/৯ নং ওয়ার্ড ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের (অধিকাংশ)  সাধারণ জনগণ ।

উল্লেখ্য চকরিয়া পৌরসভার ৯ ওয়ার্ড হয়ে ফাঁসিয়াখালী ফকিরহাট পর্যন্ত ওয়াপদা বেড়িবাঁধ এবং চকরিয়া পৌরসভার ৮/৯ নং ওয়ার্ড হয়ে মজিদিয়া মাদ্রাসা রোড টি  দিয়ে সবচেয়ে দূরবর্তী চিরিংগা শহর , এই এলাকার  বেশির ভাগ মানুষের ব্যবসা বানিজ্য দৈনন্দিন নানা কাজকর্ম পরিচালিত হয় চকরিয়া ও চট্টগ্রাম  শহরকেন্দ্রীক।

ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া ও বিভিন্ন প্রয়োজনী কাজে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চকরিয়া শহরে আসা যাওয়া চলে,এছাড়াও এইসমস্ত  ইউনিয়নে  উন্নতমানের কোন চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন অনেক রোগী বহনকারী গাড়ী আসে এই রাস্তা দিয়ে, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়েনের  মানুষ ছাড়াও চকরিয়া পৌরসভার  বিশাল একটি অংশের মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটি,কিন্তু বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল অনেক কঠিন ও কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে, সিএনজি ও টমটম গাড়িতে উঠার পর এমন লাফালাফি শুরু করে মন তখন আতঙ্কে উঠে কখন যেন গাড়ি টি পড়ে যায়,বাচ্চারা গাড়িতে থাকলে ভয়ে কাঁদতে শুরু করে,মনের ভিতর হয়ত তাদের এক অজনা আতঙ্ক কাজ করে,যেটি তাদেরকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে দিতে পারে,বৃদ্ধ ও গর্ভবর্তী মহিলাদের অবস্থা লিখনীর ভাষা দিয়ে বুঝানো কঠিন।

কারণ রোগীর মন মেজাজ এমনিতেই খারাপ থাকে,তাছাড়া রোগী বহন কারীগাড়ী যখন লক্কর ঝক্কর শুরু করে তখন রোগীরা অভিশাপ দিতে তাকে।তাছাড়া সামনে বর্ষা মৌসুম তখন রাস্তাটি আরও বেশি  খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে,তখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে,কিন্তু জনগনের তো চলতে হবে, এদিকে চকরিয়া পৌরসভা ও ফাঁসিয়াখালীর (অধিকাংশ) স্থানীয়  একাধিক সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের বর্ষার মৌসুমে উক্ত এলাকায় বসতভিটার ভেঙে ও রাস্তাঘাটের গাছগাছালি কেটে সংস্কারের কাজ শুরু করলেও মাঝপথে এসে থেমে যায়!

তারা আরো বলেন,  সরকার সবকিছু দিতেছে রাস্তা দিতেছে,মেরামতের ও ব্যবস্থা করতেছে  তারপরও এই আধুনিকায়নে রাস্তার এ দৈন্যদশা কেন? এবং বলেন আমরা বাজেট মাজেট বুঝিনা -আমরা ভালভাবে সুন্দর ভাবে বাঁচতে চাই। স্থানীয় একজন শিক্ষিত ভদ্রলোক বলেউঠেন,  এটি কতৃপক্ষের গাফলতি ছাড়া আর কিছু নয়,এসব দ্বায়ি ব্যক্তিদের কে  বুঝিয়ে বলার লোকও চকরিয়া শহরে কম বটে।

সাধারণ জনগন মনে করছে সামনে জাতীয়নির্বাচন রাস্তাঘাটের বেহালদশা আগামী সংসদ নির্বাচনে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে,তবে এটির জন্য সরকার দায়ী নয়,জড়িত রয়েছে রাস্তা সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা ও অসাধু ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান।সরকারের বরাদ্দের পর ও তাদের গাফলাতি ও অনিয়ম অব্যাহতের কারণেই আজ এই অবস্থা। পরিশেষে বর্ষা মৌসুমের পূর্বে অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার জোর দাবী তুলেন।