নাগরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, আহত ১১

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, রোববার, ১৮ মার্চ ২০১৮ | ৫১৩

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকেকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ১ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। নিহত ব্যাক্তির নাম রবিন মিয়া(১৮)। সে উপজেলার বাদে ভূগোলহাট গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে দপ্তিয়র ইউনিয়নের চরাঞ্চল নবদিয়া গ্রামে। আহত ব্যাক্তিরা হচ্ছে, আসলাম(২৫), বাবু(১৯), তোতা মিয়া(৩০), হাসান শেখ(৩৫), আতোয়ার মিয়া(৩৮), সামাদ মোল্লা(৪৫), সমেজ মোল্লা(৩৮), লিটন(৩০), ছোরমান (৩৫), আওলাদ(৩০)।

নিহত রবিন রোববার সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে নাগরপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাকি ৫ জনকে মনিকগঞ্জের দৌলতপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দপ্তিয়র ইউপি চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার উপজেলার নবদিয়া গ্রামের আমোদ আলীর পুত্র হাসান মোল্লার সাথে পার্শ্ববর্তী বাদে ভূগোলহাট গ্রামের মানিক শেখের ছেলে ইলেট্রিক মিস্ত্রি মাসুদ রানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাসান শেখ তার আত্মীয় স্বজন নিয়ে মাসুদ রানার ওপর অতর্কিত হামলা করে।

এ সময় মাসুদ রানা দৌড়ে আত্মরক্ষা করে। খবর পেয়ে মাসুদ রানার আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রুপ নেয়। ঘটনায় রবিন মিয়াসহ উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে ৬ জনকে নাগরপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাকি ৫ জনকে মনিকগঞ্জের দৌলতপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে থেকে রবিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুর কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুক্রবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে থেকে রবিন নামের এক ব্যাক্তি রোববার সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ নিয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামালার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঘটনায় জড়িতরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার কার যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।