মির্জাপুরে পানিতে ভাসছে ২লাখেরও বেশি মানুষ


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২লাখেরও বেশি মানুষ পানি বন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে জীবন-যাপন করছেন।
ভারী বৃষ্টি বর্ষণ ও জোয়ারের পানি আসায় উপজেলার নিঁচু ও মধ্যাঞ্চলগুলো পানিতে প্লাবিত হয়। সরজমিনে গিয়ে সর্বসাধারণের চরম দুর্ভোগ দেখা গেছে, ২লাখেরও বেশি মানুষ পানি বন্দি হয়েছে।
এ পানি আসায় বন্যা কবলিত এলাকায় ভাঙন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ডুবে গেছে এবং চাষকৃত পুকুর থেকে মাছ বেরিয়ে যাওয়াতে চাষীদের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক হারে।
উপজেলার লৌহজং ও বংশাই নদীর পানি বিপদ সিমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে এতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও অনেক বসত-বাড়ি।
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, উপজেলার ৫৯টি মাধ্রমিক বিদ্যালয়, ১৪টি মাদ্রাসা ও ১০টি কলেজ এবং ১৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধশত বিদ্যালয়ের মাঠ ডুবে গেছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
বন্যার কারণে নিঁচু এলাকার ফসলি জমি ডুবে গেছে। চরম বিপাকে পড়েছে চাষীরা। চাষীরা বলেন, জমিতে আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু পানিতে আমাদের সব কিছু শেষ কইরা দিছে। এখন আমরা কি করমু বুঝবার পারতাছি না।
চাষকৃত পুকুরেও ঐ একই ধরণের সমস্যা দেখা গেছে। কয়েকটি চাষকৃত পুকুরের মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, পুকুরের সকল মাছ বন্যার পানিতে অন্যস্থানে চলে গেছে।
বন্যার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলার প্লাবিত বন্যাঞ্চল সমূহে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষদের যেকোনো সমাধানে আমরা সদা সচেষ্ট। দুর্গত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খলিলুর রহমান জানান, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানি এসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঐ সকল বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।