প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষন
কালবৈশাখী ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছটি ১৫ দিনেও সড়ানো হয় নি


টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভবনের সম্মুস্থ গাছটি ১৫ দিন আগে কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে পড়ে গেলেও এখনও গাছটি সড়ানো হয় নি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বৃহৎ গাছটি পড়ে যাওয়ায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সকলের যাতায়াতেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ এবং আইনজীবিরা।
১১ মার্চ রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভবন এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ভবনের মাঝখানে রাস্তার পাশে ডাল-পালাসহ চূর্ণ বিচূর্ন অবস্থায় পড়ে আছে কড়ি গাছটি। জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্র আঘাতে কোর্ট চত্ত¡র এলাকায় গাছটি শেকড় থেকে ডালপালাসহ উপড়ে পড়ে যায়।
মো. আবুল কালাম নামের এক সাধারণ লোক বলেন, “আমি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কোর্ট চত্তর এলাকায় মামলা মোকদ্দমার একটি কাজ করতে আসতেছি। এই গাছটিও আমি এক সপ্তাহ ধরে পড়তে থাকতে দেখছি। গাছটি এইভাবে পড়ে থাকায় আমাদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।
” এডভোকেট মো. আবু রায়হান বলেন,“গাছটি এই ভাবে পড়ে থাকায় কোর্ট চত্বর এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এই ভাবে গাছটি পড়ে থাকায় দেখতেও খারাপ লাগছে।” এডভোকেট অনুপম দে অপু বলেন, “গাছটি ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় কোর্ট চত্তর এলাকায় আসা সকলের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।
আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত গাছটি সরানোর ব্যবস্থা করবে।” এডভোকেট এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন,“ কোর্ট চত্ত¡র এলাকার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১৫ দিন ধরে গাছটি পড়ে থাকায় কোর্ট চত্ত¡র এলাকায় আসা সাধারণ মানুষের যাতায়াত এবং যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।” চায়ের দোকানদার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,“১০-১৫ দিন আগে রাতে কাল বৈশাখী ঝড়ে গাছটা আমার চায়ের দোকানের উপর পইড়া যায়। গাছটি আমার দোকানের উপর পইড়া যাওয়ায় দোকানে থাকা সব কিছু মুয়া হইয়া গেছে। আমার দোকানের বেঞ্চি, কাপ, টেবিল সব কিছু ঝুড়া হইয়া গেছে।
আমার প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকার মত ক্ষতি হইছে।” টাঙ্গাইল বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হোসাইন মুহম্মদ নিশাত বলেন, “কোর্ট চত্ত¡র এলাকায় ঝড়ে কোন গাছ পড়েছে কিনা সে বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। যদি কোর্ট চত্ত¡র এলাকায় ঝড়ে কোন গাছ পড়ে যায় তাহলে সে বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগ দেখবে। গণপূর্ত বিভাগ বন বিভাগ বরাবর লিখিত আবেদন করে অনুমতি সাপেক্ষে গাছটি সড়াতে পারে।
” এ বিষয়ে টাঙ্গাইল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসিয়াল ফোন নম্বরে (০৯২১৬৪০১৭) একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে। সরকারি সকল নিয়ম কানুন অনুযায়ী গাছটির মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। গাছটি প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হবে।”