সাবের হোসেনের বাসায়

রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক ‘ব্যক্তির বাসায় বৈঠক’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ পিএম, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫ | ৯২

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী রাজনীতিক সাবের হোসেন চৌধুরীর ঢাকার বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠককে ‘ব্যক্তির বাসায় বৈঠক’ হিসেবে দেখা উচিত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির করা মন্তব্যের বিপরীতে উপদেষ্টা প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও অংশগ্রহণমূলক হলে ভারত বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে।

প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্যটিকে 'সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত' উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি ওই বক্তব্যকে তাদের বিষয় বলে মনে করি না; এটি বাংলাদেশের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়, আর এ ধরনের মন্তব্য একেবারেই অযৌক্তিক।’

ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রপতির চিঠি, তুরস্কের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা, এবং বিদেশে ভিসা-সংক্রান্ত নানা জটিলতাসহ সমসাময়িক বেশ কিছু ইস্যু নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা। রাষ্ট্রপতির পাঠানো বলে উল্লিখিত একটি চিঠি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তৌহিদ বলেন, তিনি চিঠিটি পেয়েছেন, তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না।

তৌহিদ বলেন, তিনি (রাষ্ট্রপতি) শুধু তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন; এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। তিনি আরো জানান, চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার অনেক পরে তার হাতে পৌঁছায়।

বিদেশী মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি অপসারণের বিষয়ে কোনো আইন বা সরকারি নির্দেশনা জারি হয়েছে- এমন দাবিও তিনি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেন।

তুরস্কের সঙ্গে সম্ভাব্য সামরিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে তৌহিদ বলেন, এটি দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের স্বাভাবিক দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের অংশ। তিনি আরো বলেন, তুরস্কের উল্লেখযোগ্য সামরিক প্রযুক্তি আছে। আমাদের ইতোমধ্যে অনেক দেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা রয়েছে এবং তা আরো সম্প্রসারিত করা উচিত। এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি বিষয়।

পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশী নিহত হওয়ার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটনা হতে পারে। বাংলাদেশ কোনো সংঘাতে অংশ নিচ্ছে না, এবং আমরা কোনোভাবেই চাই না আমাদের নাগরিকেরা বিদেশী কোনো অভিযানে জড়াক।