নদী ভাঙ্গনে ঈদগাহ বিলীন হওয়ার পথে
টাঙ্গাইলে এলেংজানী নদীর স্রোতে বীর নাহালী গ্রামের ঈদগাঁ ময়দানের সর্বশেষ অংশ বিলীন হওয়ার পথে।
গত ৯ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে ঘারিন্দা ইউনিয়নের বীর নাহালী ঈদগাঁ ময়দানে নদীর পানি দেখলে দেখা যায় ঈদগাঁর একটু অংশের দেয়াল টিকে আছে। যে পরিমান নদীর পানির স্রোত দেখা যায়, বাকী অংশ ভেঙে যেতে বেশী সময় লাগবে না।
এলাকাবাসী অভিযোগ চেয়ারম্যান ও মেম্বার দেখতে আসলেও নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। এছাড়াও টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডেও কোন কার্যক্রমও চোখে পড়েনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এশাধিক ব্যক্তি জানান,এখানে বালি উত্তোলনের জন্য প্রতি বছর ড্রেজারও বসায়! এই মুহুর্তে বীর নাহালী ঈদগাঁ বাউন্ডারী দেয়ালের শেষ অংশ ভেঙ্গে গেলে গোসাই জোয়ার থেকে নালী হয়ে সুরুজ যাওয়ার পাকা সড়কও ভেঙ্গে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। আর এই পাকা সড়ক ভেঙ্গে গেলে এই পথে হাজারো মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। নদীর আশে পাশে ফসলী জমিসহ বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
জানা গেছে ২০২২ সালে সর্বশেষ এই বীর নাহালী ঈদগাঁ ময়দানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ঈদ গাঁ ময়দানের পাশে ছিলো বীর নাহালী প্রাথমিক বিদ্যালয়। যা নদীর পানির স্রোতে তিন বছর পূর্বে বিলীন হওয়ার আগেই বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করে বীর নাহালী বাজারে নেওয়া হয়। তবে ফসলী জমিসহ অনেক অংশ বিলীন হয়ে যায়।
ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল হোসেনকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান দ্রুত পানি উন্নয়নের বোর্ডের কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
