ভুয়া লোন উত্তোলন করে রুপালী ব্যাংক ম্যানেজার উধাও


বগুড়ার শিবগঞ্জে এফডিআর গ্রাহকের নামে ভুয়া লোন উত্তোলন করে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন রুপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ম্যানেজার জোবায়নুর রহমান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য রাজশাহী বিভাগীয় একটি তদন্ত দল বগুড়ায় পৌঁছেছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই তদন্ত দল বগুড়ার মহাস্থান শাখায় কাজ করছিলেন। তারা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
ওই টিমের প্রধান এন এম জি তোফায়েল, সুলতান মাহমুদ, সাহিন মাহমুদ, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে রুপালী ব্যাংকের বগুড়া জেলা জেনারেল ম্যানেজার সরদার হাবিবুর রহমান জানান, তদন্ত দল কাজ করছেন- এ বিষয়ে এখন কথা বলা যাবে না।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার রুপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ম্যানেজার জোবায়নুর রহমান ব্যাংকে এসেছিলেন। তিনি ব্যাংক চলার সময়ে চা খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে যান। এরপর আর ফিরে আসেননি। ওই দিন তিনি ব্যাংকের চাবি, নথিপত্র, ব্যক্তিগত ব্যাগ রেখে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য।
ওই ম্যানেজার এফডিআর গ্রাহকদের নামে ভুয়া সই করে কয়েক কোটি টাকার লোন উত্তোলন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে- ওই টাকা নিয়ে তিনি উধাও হয়ে গেছেন।এব্যাপারে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আব্দুল মজিদ মন্ডল বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
এ সংবাদ মহাস্থান সহ আশে পাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার ব্যাংকে আমানত জমাকারী গ্রাহকেরা তাদের হিসাব দেখার চেষ্টা করেন এবং অনেকেই জানতে পারেন তাদের হিসাবের গড়মিল পাওয়া যায়। কারো হিসাবেই নির্দিষ্ট পরিমান টাকা জমা নেই। এতে করে প্রায় কয়েক কোটি টাকার গড়মিল পরিলক্ষিত হয়।
মহাস্থান বাজারের নাসির কটকটি ঘরের মালিক নাসির জানান, তার এফডিআর একাউন্টে ৬৫ লাখ টাকা ছিল। ২০% রেখে সব টাকা লোন দেখিয়ে তুলে নিয়েছেন। এরকম আরো কত সদস্যের নামে লোন তুলেছেন ওই ম্যানেজার তার পরিসংখ্যান এখনো কোন কর্মকর্তা জানাননি।
তারা শুধু বলছে, তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না।এদিকে মহাস্থান মাজা কর্তৃক গচ্ছিত ৮৫ লাখ টাকার একাউন্টে নেই বলেও শোনা যাচ্ছে।এ ঘটনায় মহাস্থান সহ আশে পাশের ব্যবসায়ী সহ গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।