থানায় এসে খুনি বলল ‘আমি মানুষ মেরেছি’
সিরাজগঞ্জ সদরে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার পর খুনি নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
রবিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার কালিয়া কান্দাপাড়া দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলম সেখ (৫৫) ওই এলাকার জুড়ান সেখের ছেলে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (২৫) একই এলাকার আব্দুল বারিকের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, দুপুরে থানার ভেতর প্রবেশ করে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক বলতে থাকেন, ‘আমি মানুষ মেরেছি।’ এ সময় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর কথামতো ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার বিষয়ে ওসি সিরাজুল বলেন, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কান্দাপাড়া হাটখোলায় একটি চায়ের দোকানে আলম নামের ওই ব্যক্তি বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় অভিযুক্ত সাইফুল সেখানে গিয়ে আলমের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে প্রথমে তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে কপালে আঘাত করলে আলম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সাইফুল তাঁকে ধরে গলা কেটে হত্যার পর নিজেই থানায় চলে আসেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাইফুল মানসিকভাবে অসুস্থ।
আলম সম্পর্কে ওসি সিরাজুল বলেন, ভাড়ায়চালিত দুটি রিকশাভ্যানের মালিক আলম দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তাঁর সংসারে দুই স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে
