উত্তরের পথে ৩৫ কিলোমিটার ভয়াবহ যানজট, চরম ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩ | ৪১৭

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু‌ মহাসড়কের ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৮ জুন) ভোর রাত ৪ টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। 

বেলা ১০ টা পর্যন্তও এ চিত্র দেখা যায়।

সেতুর উপরে দুর্ঘটনা এবং গাড়ি বিকল হওয়ার কারনে দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও চালকদের বেপরোয়া গাড়ির চালানোর কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে মহাসড়কে পুলিশ যানজট নিরসনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। 

এ যানজটের কারনে চরম ভোগান্তিতে  পড়েছেন  ঘরমুখো মানুষ। শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুবিধায় রয়েছেন।

এদিকে মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক ও পিক-আপের সংখ্যাও অনেক। ঈদের আগের দিন এ যানজটের ফলে সাধারণ মানুষের অস্বস্তি চরম আকার ধারন করেছে।

ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী এক যাত্রী বলেন আমি প্রায় ২ ঘন্ট মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়িতে বসে বসে। রাস্তা একেবারে আটকে আছে। 

পুলিশ জানায়, বুধবার ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর সংঘর্ষ ও এক পিকআপ গাড়ি বিকল হয়। পিকআপটি সরাতে এক ঘন্টার উপরে সময় লাগে। এতে ভোর রাত ৪ টা ১৫ থেকে ৪ টা ৫৩ পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর আগেও কয়েক বার টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে যানজট শুরু হয়।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান বলেন, সেতুর উপর ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে যানজট শুরু হয়। আমরা সড়কে দায়িত্বপালন করছি। গাড়ির টান শুরু হয়েছে আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।

উল্লেখ্য, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে ১৮-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। যার ফলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত এই ১৪ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন এবং অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজট ও ভোগান্তি হয়ে থাকে।