প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মাভাবিপ্রবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সোমবার ( ২০ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষকরা এ অবস্থান নেয়। এরপর বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেয়ার উদ্দেশ্যে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্দেশ্যে উপচার্য তাঁর কার্যালয় যেতে চাইলে শিক্ষকদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদার রহমানের সঞ্চালনায় প্রফেসর ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ এর সভাপতিত্বে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত পদ্ধতিতে (শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা) শিক্ষক প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবং প্রতিবাদ স্বরুপ গতকাল সকাল ৯ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদার রহমান বলেন, আজ আমাদের এ অবস্থান কর্মসুচি আসলে এক দিনের জন্য না। বিভিন্ন কর্মকান্ড দ্বারা আমরা নিগৃত ও বঞ্চিত। ভাইস-চ্যান্সেলর মহাদোয় ওনি মূলত স্বেচ্ছারিতা ভাবে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। ওনি একক ভাবে যা করেন সেটাই তিনি বাস্তাবায়ন করেন। তার একটা উদাহরণ হল সম্প্রতি সমাবর্তনে ডিন অ্যাওয়ার্ড ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোন শিক্ষক নেই যে শিক্ষক চান না ডিন অ্যাওয়ার্ড বহাল থাকুক ওনি একক ভাবে চেয়েছেন বিভিন্ন ভাবে কনভেন্স করে চেষ্টা করেছেন। ওর্ডিন্যান্সে উল্লেখ্য আছে ডিন অ্যাওয়ার্ড থাকবে। তারপরও তিনি ভায়োলেট করে একক ভাবে বাস্তবায়ন করছেন।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো: ফরহাদ হোসেন বলেন, আমার দৃষ্টিতে তারা সম্পন্ন অযৌতিকভাবে এ কাজটা করছে।কারণ আমরা শিক্ষক নিতে চাচ্ছি লিখিত পরীক্ষা নিয়ে।লিখিত পরীক্ষা নিলে সব প্রার্থীরা একই প্রশ্নে সবাই পরীক্ষা দিবে সেখান থেকে আমরা বাছাই করে লিখিত পরীক্ষার পরে ভাইবা নিব। কিন্তু তারা লিখিত পরীক্ষা নিতে দিবে না তারা চাচ্ছে সরাসরি ভাইবা নিতে। সরাসরি ভাইবা নিতে গেলে নানান ধরণের চাপ আসে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। কেন তারা লিখিত পরীক্ষা নিতে দিচ্ছে না তা আমি জানি না। এবং তাদের পিছনে কি যুক্তি আছে সেটাও বুঝি না।
ডিন অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন,প্রত্যেক শিক্ষক চাইনি চাইলে সকল শিক্ষকরা তাদের সাথেই থাকতো।ওরা কয়েকজন শিক্ষক চেয়েছিল এক আর আমি বলেছিলাম সমার্তন শেষে আলোচনা করে এ বিষয়টা সমাধান করা যাবে কিন্তুু তারা এটা না করে অবস্থান দখল মানববন্ধন সমাবর্তন অনুষ্ঠান পন্ড করার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন ভাবে এটা বির্তকিত করার চেষ্টা করেছে। যেটা আসলেই অনাকাঙ্খিত। আর স্বেচ্ছাচারিতা বিষয়টা প্রশ্নেই ওঠে না আমি একক ভাবে কোন কিছুই করি না।
