টাঙ্গাইলে মানব পাচারকারী মূল হোতা হাফিজুর গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | ৪০৯

লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা টাঙ্গাইলের মো. হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মহানগরের নয়াপল্টন এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪।

গ্রেফতারকৃত মো: হাফিজুর রহমান (৪৫) ঘাটাইল উপজেলার পোড়াবাড়ীর নাগবাড়ীর গ্রামের আঃ ছাত্তারে ছেলে।

র‌্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল র‌্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতা মো: হাফিজুর রহমান (৪৫) ঢাকা মহানগরের নয়াপল্টন এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ( ১৪ ফেব্রুয়ারী) রাতে ঢাকা মহানগরের নয়াপল্টন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. হাফিজুর রহমান (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার নিকট হতে ৮টি পাসপোর্ট, ২টি চেক বই, ১টি ডেবিট কার্ড ও নগদ ১০ হাজার একশ ৬০ টাকা উদ্ধার করে। 

র‌্যাব আরোও জানায়, আসামীকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মো.হাফিজুর রহমান প্রথমে তার সহযোগী শফিক এর নিকট এবং শফিক অপর এক সহযোগী শাকিলের মাধ্যমে লিটনকে লিবিয়ায় প্রেরণ করে সেখানে আটক রেখে মারধোর করে মুক্তিপন দাবি করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঘাটাইল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

উল্লেখ্য , গত ৩ জানুয়ারী মো. হাফিজুর রহমান তার গ্রামের লিটন নামক এক ব্যক্তিকে ভাল বেতন ও থাকা-খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় প্রেরণ করে। লিবিয়ায় প্রেরণের পর সেখানে থাকা মো. হাফিজুর রহমানের সহযোগী অজ্ঞাতনামা কয়েক জন লোক লিটনকে আটকে রেখে মারধোর করে তাকে দিয়ে তার বাবাকে ফোন করে বলায় যে, সে লিবিয়া পৌঁছেছে এবং ভাল আছে  সে তার বাবাকে বলে যে, মো. হাফিজুর রহমানকে  তিন লক্ষ ২৫ হাজার  টাকা দিয়ে দিতে। তখন লিটনের বাবা মো. হাফিজুর রহমানকে তিন লক্ষ ২৫ হাজার  টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে গত ৯ ফেব্রুয়ারী ইমো নাম্বার থেকে লিটনের বাবাকে ফোন করে তার ছেলেকে লিবিয়ায় আটক রেখে মারধোরের ভিডিও দেখায় ও তার মুক্তিপণ বাবদ ১৩ লক্ষ টাকা দাবি করে অন্যথায় তার ছেলে হত্যার হুমকি প্রদান করে।  উক্ত ঘটনায় লিটনের পিতা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানার মামলা নং-৫, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমল আইন, ২০১২ এর ৬/৭/৮/১০ ধারা তৎসহ পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩৮৫ ধারার একটি মামলা দায়ের করেন।