টাঙ্গাইলে শিক্ষা কর্মকর্তার মেয়ের উত্তীর্ন হওয়া ইউনিয়ন সচিব পদ স্থগিত
টাঙ্গাইলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব পদে লিখিত পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে উত্তীর্ন হওয়া আদ্রিতা রহমানের পদায়ন স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে পরবর্তী কোন পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তার পদ স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি। আদ্রিতা রহমান টাঙ্গাইল জেলা কর্মকর্তা লায়লা খানমে মেয়ে।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও হিসাব সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে গত ১৬ জুলাই লিখিত এবং ১৭ জুলাই ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা ফলাফল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১২ জন প্রার্থী চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। আদ্রিতা রহমান সর্বোচ্চ ৬৯ নম্বর পেয়ে প্রথম হন। সে লিখিত পরীক্ষায় ৬০ ও ব্যবহারিকে শুন্য এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৯ নম্বর পান।
এ ঘটনায় বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজের কেন্দ্র সচিব, সহকারি কেন্দ্র সচিব ও প্রার্থীর কক্ষের ইনভিজিলেটরের উপর প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষা কর্মকর্তা তার মেয়েকে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে টাঙ্গাইল শহরে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে।
এঘটনায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রীপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি দেন।
সচিব পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক আবু দাউদ বলেন, কে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন আমি জানিনা। আমার জানার বিষয়ও না। সার্বক্ষনিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাথে ছিলেন। সহায়তা করার প্রশ্নই উঠে না।
তবে যে কেন্দ্রে সচিব পদে পরীক্ষা হয়েছে সেই বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে সহায়তার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, পরীক্ষার সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষনিক উপস্থিত ছিলেন। তাদের নির্দেশ মত পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে আমার সহায়তা করার সুয়োগ কোথায়।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলেন, আদ্রিতা রহমানের সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠায় পুনরায় তার পরীক্ষায় নেওয়া হয়। সেখানে সে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হননি। এতে তার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তীতে সন্দেহ হওয়ায় পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যস্থা নেওয়া জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাই মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে পরবর্তী কোন পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তার পদ স্থগিত থাকবে।
