প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিল শ্রীলঙ্কার সংসদ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২ | ৩৭০

শ্রীলঙ্কায় জনগণের মধ্যে জনপ্রিয়তা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করেছেন সেদেশের সংসদ সদস্যরা।

কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা গণবিক্ষোভ আর অর্থনৈতিক ধস থেকে শ্রীলঙ্কাকে বের করে আনার দায়িত্বের মুখোমুখি হতে হবে মি. বিক্রমাসিংহেকে।

বুধবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুলাস আলহাপেরুমাকে হারিয়ে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি পেয়েছেন ১৩৪ ভোট, দুলাস আলহাপেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট।

গত সপ্তাহে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাভায়া রাজাপাকশা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী মি. বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং অন্য সরকারি ভবনগুলোয় ঢুকে পড়ার পর গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট গোটাভায়া রাজাপাকশা শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপে যান, সেখান থেকে শ্রীলঙ্কায়। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন মি. রাজাপাকশা।

তারা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগও দাবি করছে। তবে সেই দাবিতে কর্ণপাত করেননি মি. বিক্রমাসিংহে।

বিক্ষোভকারীরা তার ব্যক্তিগত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কলম্বোয় সরকারি বাড়িতে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করে।

গত মে মাসেই মি. বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন গোটাভায়া রাজাপাকশা।

প্রেসিডেন্ট রাজাপাকশা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব পান মি. বিক্রমাসিংহে। বুধবার বিজয়ের অর্থ হলো, ২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদের বাকি মেয়াদ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে খাদ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাব রয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার বড় দায়িত্ব পড়ছে মি. বিক্রমাসিংহের ওপর, যার মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে একটি বেলআউট প্যাকেজ যোগাড় করতে পারে।

রাজপাকশা পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ রনিল বিক্রমাসিংহের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এসএলপিপি সমর্থন দিয়েছিল।