মহাসড়কে কঠোর, অলিগলিতে আড্ডা


গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় লকডাউনের কোন বালাই নেই। লকডাউন বলতে শুধু মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ। দেদারসে চলছে বাজার, খোলা রয়েছে বেশিরভাগ দোকান। তবে দোকান খোলায় বিশেষ কৌশল অবলম্বন করছে বলেও জানা গেছে। দোকানের অর্ধেক শাটার খোলে পাহারা বসিয়েছে বিভিন্ন হোটেল ও দোকান মালিকরা। প্রশাসনের গাড়ি আসার খবর পেয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠান।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, মহামারি করোনার জন্য সারাদেশব্যপী চলছে দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের বিশেষ লকডাউন। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই চলছে কালিয়াকৈরের দোকানপাট। প্রশাসনের ভয়ে বাইরে ঘুরাঘুরি না করে আড্ডা দিচ্ছে চায়ের দোকানগুলোতে।
বাজারে অভিনব কৌশলে চলছে সকল দোকানপাট আর এসব দোকানে আসছে বিভিন্ন ক্রেতা। ক্রেতা- বিক্রেতাদের মুখে নেই মাক্স। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ চন্দ্রা ত্রিমোড়ে লকডাউন বাস্তবায়নে তৎপরতায় পুলিশ। অপরদিকে উপজেলার গ্রামগঞ্জের পাড়া মহল্লায় ও শহরের অলিগলিতে দেখা যাচ্ছে জনতার ভিড় চায়ের দোকানে বসছে আড্ডাখানা। কালিয়াকৈর বাসষ্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে দেদারচে চলছে রিক্সা ও ইজিবাইকসহ নানান ধরনের পরিবহন। উপজেলার কালিয়াকৈর বাজার, বড়ই বাড়ি বাজার, বলিয়াদী বাজার, শফিপুর বাজার ও ফুলবারিয়া বাজার এসব বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় লকডাউনের কোন বালাই নেই। দেদারছে চলছে দোকানপাট ও বেচাকেনা। আর এ অবস্থায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগির সংখ্যা।
এ ব্যাপারে দেওয়াইর বাজারের এক চা বিক্রেতা বলেন, আমাদের গ্রাম পর্যায়ে পুলিশের এত আনাগোনা নাই। তাই আমাদের দোকান গুলো প্রায় সময়ই খোলা রাখতে পারি। মোটামুটি বেচাবিক্রি আছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। উপজেলার সব হাট-বাজারে পর্যায় ক্রমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তারপরও মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশক্রমে আমরা তিন স্তরের যথাক্রমে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড মনিটরিং কমিটি গঠন করবো। এই কমিটির মাধ্যমে পুরো উপজেলা মনিটরিং করা হবে।