খাশোগি হত্যা: যুবরাজকে জড়িয়ে প্রতিবেদনের জবাব দিল সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | ৪০৯
 
সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার সঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত নেই বলে দাবি করেছে দেশটি। খাশোগিকে হত্যায় সৌদি যুবরাজকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। খবর আরব নিউজের।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি যুবরাজ সালমানের বাবা বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অপ্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদন পড়ার পরই সৌদি বাদশাহকে ফোন করেন বাইডেন।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি আরব তা প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতিতে বলে, ‘সৌদি আরব এই নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য মূল্যায়ন প্রত্যাখ্যান করছে। এই অপরাধ ভিন্ন একটি গ্রুপ করেছে, যারা সব প্রাসঙ্গিক বিধি লঙ্ঘন করেছে। জড়িত সবাইকে অভিযুক্ত করে সাজা দিয়েছেন আদালত। এই সাজা খাশোগির পরিবারও স্বাগত জানিয়েছে। তবুও যুবরাজকে জড়িয়ে প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’


মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রকাশিত রিপোর্টে এদিন বলা হয়, তাকে হত্যায় সৌদি আরবের কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান নির্দেশ দিয়েছেন। সিআইএ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এদিকে এ রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই জো বাইডেন সৌদি রাজাকে ফোন করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব বন্ধু রাষ্ট্র। তবে এ ঘটনা তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি করেছিল। ২০১৮ সালে বেশ কিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয়েছিল খাশোগির ক্ষতবিক্ষত দেহ।

পশ্চিমা দুনিয়ার অভিযোগ ছিল সৌদি রাজপরিবারের কলকাঠিতে ঘটেছে এ কাজ। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছিল সৌদি রাজ পরিবার। সরকার বিবৃতি জারি করে দাবি করেছিল এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নয় রাজ পরিবার। সৌদি রাজত্বের সমালোচক ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি।

‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-র কলামিস্ট ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি। সেদিনই নিখোঁজ হন তিনি। সৌদি সরকার ১৭ দিন দাবি করেছিল তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।

অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপে ১৯ অক্টোবর স্বীকার করে, খাশোগিকে সৌদি দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে ১১ জন সৌদি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছিল।

তুর্কি পুলিশের ধারণা, ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।