আলাদা সচিবালয় বিচার বিভাগের জন্য সম্ভব নয় : আইনমন্ত্রী


মাজদার হোসেন মামলার রায়ে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের কথা বলা হলেও বস্তবে তা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার দুপরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা জজদের এক সেমিনারে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক-অগণতান্ত্রিক ১৯৩টি দেশের কোথাও বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় নেই। বাংলাদেশেও বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের পরিকল্পনা সরকারের নেই।
মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেন। ওই রায়ে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণার পাশাপাশি জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেয় সর্বোচ্চ আদালত, সেখানে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় করার কথাও ছিল।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হলেও গত এগারো বছরে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা পায়নি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের সমযে পুরাতন সড়ক ভবনে বিচার বিভাগীয় সচিবালয়ের উদ্বোধন করা হলেও এরপর কাজ আর এগোয়নি।
ওই ১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের দীর্ঘ টানাপড়েন চলে। শেষপর্যস্ত গতবছরের শেষ দিকে ওই শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহীরুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।