অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর পদ ছাড়ছেন জেফ বেজোস


৩০ বছর আগে একটি গ্যারেজ থেকে চালু করা অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিই এখন সারাবিশ্বের ই-কমার্সের সমার্থক। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস অ্যামাজনকে যেমন সারাবিশ্বে যেমন জনপ্রিয় করে তুলেছেন, তেমনি নিজেও পৌঁছে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। অর্থবিত্তে ফুলে-ফেঁপে হয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।
তবে এবার বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটছেন তিনি। নিজের ৫৭ বছর বয়সে এসে প্রধান নির্বাহী পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে একেবারেই দায়িত্ব ছাড়ছেন না বেজোস। অ্যামাজনের ক্লাউড ব্যবসার প্রধান অ্যান্ডি জেসিকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব দিয়ে তিনি থাকবেন অ্যামাজনের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্বে।
এবছরের দ্বিতীয়ার্ধেই এই পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে অ্যামাজন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বেজোস জানিয়েছেন, এর ফলে নিজের অন্যান্য কর্মকাণ্ডে মনোযোগ দেওয়ার ‘সময় ও শক্তি’ দুটোই বাড়বে তার।
তবে এই পরিবর্তন যে অবসর গ্রহণ করা নয় চিঠিতে তাও উল্লেখ করেছেন বেজোস। তিনি লিখেছেন, ‘এই পদক্ষেপ মানেই অবসর গ্রহণ করা নয়। বরং এখন যতটা কর্মচাঞ্চল্য অনুভব করি, তা আগে কখনোই করিনি। আমারে পক্ষে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যতটুকু প্রভাব রাখা সম্ভব, সে ব্যাপারে আমি ভীষণ আগ্রহী।’
সারাবিশ্বে অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজনের কর্মী সংখ্যা ১৩ লাখ। করোনা মহামারীতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিদায়ী বছর ৩৮ হাজার ৬শ’ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রির খবর জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের তুলনায় প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। আর আগের বছরের তুলনায় অ্যামাজনের মুনাফাও প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দুই হাজার একশ’ ৩০ কোটি ডলারের ঘরে দাঁড়িয়েছে