দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা নিম্নগামী থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ করে একদিনে মৃত্যু ৩৯ জনে দাঁড়ায়। যেখানে এর আগের দুদিন ২১ জন করে মারা গেছেন। আর এর মধ্যে মৃত্যু ১৩ থেকে ২০ জনের মধ্যেই ওঠানামা করছিল।
সেই সঙ্গে মঙ্গলবার করোনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২১২ জন, যা আড়াই মাসের সর্বোচ্চ। যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত সংখ্যা ২ হাজার ১১১ জন।
কভিড-১৯ পরিস্থিতি আজ বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আজকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১১১ জন। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৮২ জন।
শীত এলে রোগীর সংখ্যা বাড়বে আগে থেকেই শতর্ক করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সারাবিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে স্থবির পৃথিবী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১১৭টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৫৯৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের দিনের নমুনাসহ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৪৬৯টি। এনিয়ে দেশে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪২১টি।
আর ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২৭৫-এ এবং শনাক্তকৃত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৫ জন।
এদিকে একদিনে আরো সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো ১ হাজার ৮৯৩ জন রোগী। এ নিয়ে মোট ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন এবং নারী ৭ জন। এ পর্যন্ত মৃত ৬ হাজার ২৭৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮২৭ জন; যা শতাংশের হিসাবে ৭৬ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ৪৪৮ জন; যা শতাংশের হিসাবে ২৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ।
