সখীপুরে চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি


টাঙ্গাইলের সখীপুরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। গত ছয়মাসে মাত্র দুই দশমিক ৮ টন ধান ও ৩৮৪ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, সখীপুরে এক হাজার ৫০৪ মেট্রিক টন ধান ও দুই হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
ধান ক্রয়ের জন্য লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়। অন্যদিকে উপজেলার আটটি চাল কলের সঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চুক্তিও করা হয়। কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি ধান ও চালকল মালিকদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয়ের জন্য বলা হয়।
গত ১ এপ্রিল থেকে ধান ও চাল কেনা শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলে। কিন্তু গত ছয় মাসে ধান ও চাল ক্রয়ের পরিমাণ সামান্য। বাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে কৃষকরা সাড়া দিচ্ছেনা।
একইভাবে চালকল মালিকরা লোকসানের কথা ভেবে চাল দিচ্ছেনা। এরফলে ধান-চাল ক্রয় ব্যথ হচ্ছে। তবে তবে সংশ্লিষ্টরা বলছে সরকার আরো পনেরদিন সময় বাড়িয়েছে। এর মধ্যে তাঁদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চালকল মালিক বলেছেন, চাল দিলে তারা বড় লোকসানের মধ্যে পরবে। তাই লোকসানের চেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হলেও তাঁদের কিছু করার নেই।
উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী চাল না দিলে চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলেন, চালকল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি আশাবাদী তাঁরা চাল দেবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুল আলম ফাহিম বলেন, লটারির মাধ্যমে উন্মোক্ত করে দেওয়ার পরও কৃষকরা ধান দিচ্ছেনা। বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় চুক্তির পরও চালকল মালিকরা চাল দিচ্ছেনা।
তিনি আরও বলেন, চুক্তি অনুযায়ী চালকল মালিকরা চাল দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে পত্র দেওয়া হয়েছে।