টাঙ্গাইলে প্রেমের দায়ে যুবক কারাগারে,মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | ১৯

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়া ইউনিয়নের নামদার কুমিল্লি গ্রামে প্রেমের দায়ে দীর্ঘদিন যাবত কারাবন্দী রয়েছে এক যুবক। ওই যুবকের নাম মো. সোহাগ মিয়া(২৩)। সে কুমুল্লি গ্রামের মো. সহিদুল ইসলামের ছেলে।

কারাবন্দী ওই যুবক সোহাগের মুক্তির দাবিতে রোববার(২৬ অক্টোবর) সকালে নামদার কুমুল্লি বাজারে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে ওই গ্রামের তিন শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

মানবন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন-গ্রামের হৈতষী মাতাব্বর হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া,খলিলুর রহমান,আশরাফ আলী মিঞা, মজিবর রহমান মিঞা,আবুল কালাম আজাদ,মো. জাহিদ মিয়া ও ফরিদ মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কুমিল্লি গ্রামের মো. লোমান মিয়ার মেয়ে নাফিজা আক্তার লুবনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই গ্রামের সোহাগের সাথে। সেই সুবাদে  লুবনা প্রেমিক সোহাগদের বাড়িতে গত দুই বছরে চারবার উঠে পড়েন। পর্যায়ক্রমে স্থানীয় মাতাব্বরগন লুবনাকে বুঝিয়ে তার বাবার কাছে রেখে আসেন। সম্প্রতি ফের লুবনা সোহাগের কাছে চলে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লুবনার পিতা লোমান মিয়া সোহাগকে আসামী করে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। যাহার নাম্বার নারী শিশু ১৫৭/২৫ । বর্তমানে ওই মামলায় গত ৪ মাস যাবত সোহাগ টাঙ্গাইল জেল হাজতে আটক আছেন।

তারা আরও বলেন, মেয়ের বাবা ধনাঢ্য ব্যক্তি হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও তৃতীয় পক্ষের যোগসাজসে প্রেম গঠিত বিষয় গোপন রেখে সোহাগের নামে অপহরণ মামলা দিয়েছে। সেই মামলায় সোহাগের মুক্তি দাবি করছি। মুক্তি না দিলে পুনরায় কঠোর কর্মসুচির দেওয়া হবে বলে মানববন্ধ থেকে বক্তারা জানায়।

মানববন্ধনে সোহাগের পিতা সহিদুল ইসলাম ও মাতা সুর্য ভানু কান্না বিজরিত কণ্ঠে ছেলের মুক্তির দাবি জানায়। মানবন্ধন শেষে নামদার কুমুল্লি বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।