চোর ধরা পড়লেও বিচার হয়নি, অতঃপর---------

মির্জাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৬৬২

চোরের বিচার না করে ছেড়ে দেয়াই নিরীহ গ্রামবাসীর কাল হল।চিঠি দিয়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে চোরের দল।চোরের এই হুমকির ঘটনাটি ঘটেছে মির্জাপুরের উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ছিটমামুদপুর গ্রামে।ওই গ্রামে বাজারে চারটি দোকানে এবং চারটি বাড়িতে চোরের দল চিঠি দিয়ে হুমকী দিলে ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী জানান,সম্প্রতি ছিটমামুদপুর বাজারের চারটি দোকানে ও পাশের চার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে রতন নামে এক চোর মোবাইলসহ ধরা পড়ে। সেই চোরের বিচার করার দায়িত্ব নেন স্থানীয় এক মেম্বার ও সরকার দলীয় এক নেতা। কিন্তু চোরের বিচার না করে সেই চোরকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

এদিকে গত রবিবার রাতে ছিটমামুদপুর বাজারের চারটি দোকানে ও পাশের চার বাড়িতে চিঠি দিয়ে হুমকী দিয়েছে চোরের দল। সোমবার সকালে ছিটমামুদপুর বাজারের চার ব্যবসায়ী দোকান খুলে চোরের চিঠি পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠেন। যারা চোরের চিঠি পেয়েছেন তারা হলেন ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া, আবুল হোসেন, নাজির হোসেন ও আব্দুল মিয়া। অন্যদিকে একইভাবে বাজার সংলগ্ন কনিক মিয়া ও জসিমউদ্দিনসহ পাশের চার বাড়িতে চোরের দল চিঠি দিয়েছে।

যাদের দোকানে ও বাড়িতে চোরের দল চিঠি দিয়েছে তাদের প্রত্যেকের দোকান ও বাড়িতে এর আগে চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। চিঠিতে ৩ চোরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে দোকানে ও বাড়িতে কারা কিভাবে চুরি করেছে কে কত ভাগ পেয়েছে তারও বর্ননা করা হয়েছে চিঠিতে। তবে যে চোরে চিঠি ছেড়েছে তার নাম গোপন রাখা হয়েছে।

ছিটমামুদপুর বাজার কমিটির সেক্রেটারী মিনহাজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চোর ধরার পর তার বিচার না করে ছেড়ে দেয়ায় অপরাধীরা বেপরোয়া হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে বলে তিনি জানান।

বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফয়সালের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বাড়িতে ও দোকানে দোকানে চিঠি দেয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে চোর ধরে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি শুনেছি।