মির্জাপুরে ব্যবসায়ীদের আশায় গুড়ে বালি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০ | ৫১৮

মার্কেট শপিংমল খুলে দেয়ার পর ৩ দিনের মাথায় তা আবার বন্ধ করে দেয় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসন। জেলায় এ নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন-মানববন্ধন করে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। এরপর সোমবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি পালনের শর্তে আবারো খুলে দেওয়া হয় মির্জাপুর উপজেলার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এরআগে রাস্তায় রাস্তায় প্রবেশ মুখে দেওয়া হয় বাঁশের ব্যরিকেড। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় যান চলাচলে। ব্যবসায়ের সময় দেয়া হয় সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দোকানে দোকানে বাঞ্চনীয় করা হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।

এত আয়োজন করে ব্যবাসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেয়ার ফলে সাধারণ সচেতন জনতা তুষ্ট না হলেও আশায় বুক বাধে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কারণ ধার দেনা করে ইতোমধ্যে অনেকেই দোকানে মালপত্র উঠিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সেই আশায় গুড়েবালি। দিনভর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী আর জরিমানায় মাকের্ট বিমুখ সাধারণ ক্রেতা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা পৌর সদরের ব্যস্ততম কয়েকটি মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে কেবলই ব্যবসায়ীদের হতাশামাখা মুখ দেখা গিয়েছে, মেলেনি উল্লেখ করার মতো ক্রেতা সমাগম।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন জুতা ও গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে অধিকাংশই জানান, শর্ত সাপেক্ষে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় তারা আশান্বিত হলেও মার্কেটে ক্রেতা সমাগম একেবারেই নেই। জরিমানা আতংকে অধিকাংশ ক্রেতাই মার্কেট বিমুখ। এই পরিস্থিতিতে মহাজনদের পাওনা টাকা কিভাবে পরিশোধ করবেন সেই ভাবনায় হতাশাগ্রস্ত তারা।

উল্লেখ্য, মার্কেট খুলে দেয়ার প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক মতো পালন না করা ও যান চলাচলের অভিযোগে দুইদিনে উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহীকে মোট ২৪ হাজার ৫শত টাকা অর্থদ- দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা একটি কঠিন ব্যাপার তবুও সার্বিক চিন্তা ভাবনা করে মির্জাপুরের ব্যবাসীদের এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোন কিছুই করতে দেয়া হবেনা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।”