টাঙ্গাইলের নদী থেকে মাটি উত্তোলন; হুমকির মুখে সেতু


সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানে প্রতিনিয়িত সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ভেকু মেশিন দিয়ে দুটি পয়েন্টে গুনটিয়া এলাকায় অবৈধভাবে নদীর মাটি উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের গুনটিয়া এলাকায় লৌহজং নদীর মাটি ঐ এলাকার প্রভাবশালীরা ভেকু মেশিন দিয়ে এ মাটি উত্তোলন করছেন। গুনটিয়া গ্রাম সংলগ্ন লৌহজং নদীর দুটি স্পটে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এদিকে এলোপাথারি মাটি উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র গুনটিয়া সেতু ও আশপাশের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছরের ন্যায় এলাকার প্রভাবশালী জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পূর্বপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ মিয়া, চুকুরিয়া গ্রামের মো. রফে তালুকদারের ছেলে মোকাদ্দছ, ও গুনটিয়া গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে রাজিব রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলে না। বাধা দিতে গেলেও নানা ভয়ভীতি দেখায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেক রাতের আধারেই এরা মাটিগুলা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে ব্রিজ ও পাশ^বর্তী বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবৈধ মাটি কাটা যেনো বন্ধ হয় তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এই দাবি জানান।
অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী রাজিবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগে তিনি মাটি উত্তোলনের কাজ বন্ধ দাবি করে বলেন, আমি এ ব্যবসার সাথে জড়িত না। ক্লাবের ছেলেরা ব্যক্তি মালিকানাধীন মাটি ক্রয় করেছিলো সেখান থেকে আমি ভায়া হয়ে টাঙ্গাইলের কয়েকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সামাজিক দূরত্ব বজায়সহ নানা ধরণের সচেতনতামূলক কর্মকান্ড ও ত্রাণ বিতরণে প্রশাসন যখন ব্যস্ত তখন এই সুযোগে যদি কেউ অবৈধভাবে মাটি কাটার মতো অপরাধে জড়িত থাকেন তাহলে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।