ভোলায় ইউএনও এবং ওসির বিরুদ্ধে মামলা

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ | ৫৬০

ভোলার বোরাহানউদ্দিন উপজেলায় চাল চোরের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের না করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেয়ার অপরাধে ইউএনও, ওসির বিরুদ্ধে সুয়ামোট মামলা করেছেন ভোলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

বৃহস্পতিবার(১৬ এপ্রিল) ভোলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরিদ আলম বোরাহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির উদ্দিন গাজী ও ওসি মু. এনামুল হকের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

যাহা সুয়ামোট মামলা নং-০১/২০২০ (বোরাহানউদ্দিন) মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনীতে জানা যায়, বর্তমান করোনা দুর্যোগের পরিস্থিতিতে ত্রাণের চাল আতœসাৎ ও কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদের অপরাধের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বশির গাজী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন এবং আসামী আব্দুল মান্নানের নিকট হইতে ২৫ হাজার টাকা এবং সেলামতকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি প্রদান করেন।

বিদ্যমান ঘটনার সংবাদে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ইহা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারার (১) ও (২) ধারার অপরাধ, যাহা স্পেশাল ট্রাইবুনাল কতৃক বিচার্য্য এবং যাহার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যু দন্ড পর্যন্ত। একই সাথে বর্নিত ঘটনা যদি চবহধষ ঈড়ফব এর ১৮৬০ এর ৩৭৯ ধারা ( যাহার সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছর কারাদন্ড) ৪০৩ ধারা যাহার (সর্বোচ্চ সাজা ২ বছর কারাদন্ড) ৪১১ ধারা যাহার (সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছর কারাদন্ড) ৪১৪ ধারা ( যাহার সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছর কারাদন্ড) সহ আরো অন্যান্য ধারায় অপরাধ মর্মে গন্য করা যায়।

একই সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি সরকারি কর্মচারী হলে এই ত্রানের চাল দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং তৎসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন আইনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় মর্মে প্রতীয়মান হয়। দূর্নীতি দমন বিষয়টি দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্ত এবং স্পেশাল ট্রাইবুনাল কর্তৃক বিচার্যের অপরাধ।

আদালতের কাছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিবার্হী অফিসার(ইউএনও) ভারপ্রাপ্ত বশির গাজী এখতিয়ার বিহীন অর্থদন্ড আরোপের মাধ্যমে অপরাধীকে দায়মুক্তি প্রদান করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় আইন, ফৌজদারি বিচার কাঠামো ও বর্তমান সরকারের নীতির সুস্পষ্ট লংঘন করা হয়েছে মর্মে সংবাদ দৃষ্টে প্রতীয়মান হয়।

অপরাধের প্রকৃত বিচারের পথ রুদ্ধ করে তাকে নামমাত্র শাস্তি তথা জরিমানা করে দায়মুক্তি দেয়ায় ইউএনও,ওসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুয়ামোট মামলাটি রুজু করে আগামী ২৮ এপ্রিল মোবাইল কোর্ট পরিচালনার যাবতীয় ডকুমেন্টস ও আইনানুগ ব্যাখ্যাসহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরিদ আলম’র আদালতে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।