নাগরপুরে পুলিশ-ডাকাত সংঘর্ষ গুলি বিনিময়

এসআই সহ ৩ পুলিশ আহত গুলিবিদ্ধ এক ডাকাত আটক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

নাগরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৪৬১



টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ডাকাত-পুলিশের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ ও পুলিশের এক এসআইসহ ৩ পুলিশ আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার গয়হাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ডাকাতের নাম লাভলু মিয়া (৪৫)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী গ্রামের জুরান আলীর ছেলে।


গুলাগুলি এক পর্যায়ে ডাকাতদল পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশ গুলিবিদ্ধ ডাকাত লাভলু মিয়াকে আটক করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় প্রথমে নাগরপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।


আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে, এসআই আয়নাল হক, কনষ্টেবল কামরুজ্জামান ও নূরুল ইসলাম । আহত পুলিশ সদস্যদের টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


ওসি মাইন উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নে নিয়মিত গ্রেফতারী অভিযান পরিচালনা করতে যায়।


অভিযান শেষে পুলিশের ওই দল গয়হাটা পাকা সড়কের দারোগা বাড়ীর পশ্চিম পাশে কলাবাগানের নিকট পৌছলে সশস্ত্র ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ করে গুলিবর্ষন করে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষায় ডাকাতদের লক্ষ করে পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ৪/৫ মিনিট ধরে চলতে থাকে ডাকাত-পুলিশ বন্দুক যুদ্ধ।


পুলিশ ডাকাতদের লক্ষ্য করে ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। মুহুর্মুহ গুলির শব্দে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। গুলাগুলির শব্দে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হয়। এলাবাসীর উপস্থিতি ও পুলিশের গুলির মুখে ডাকাতদল টিকতে না পেরে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত লাভলু মিয়া ওরফে লাবুকে গ্রেফতার করে।


এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে আহত ডাকাত লাভলু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশের কাছে ৭/৮ জনের একটি ডাকাতদলের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ডাকাতদের ফেলে যাওয়া চাপাতি, ছোরা ও চাকু অস্ত্র উদ্ধার করে।


ডাকাত লাভলু মিয়া ওরফে লাবু আন্ত জেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় কমপক্ষে ৫টি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান।