পৌষের শুরুতেই শীতের দাপট

কালিহাতীতে কনকনে শীতে স্থবির জনজীবন

শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী
প্রকাশিত: ১১:৩২ এএম, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৪৭৫

সকালের সোনা রোদ ঢেকে থাকে কুয়াশায়। দুপুরকে মনে হয় যেন ঝলমলে সকাল। দুপুরে সোনা রোদ চলে গেলে নামে কুয়াশার চাদর। চলছে পৌষ মাসের প্রথম পক্ষ। একটু একটু করে শীত নামে। কয়েকদিন আগেও তাই দেখা গেছে। কিন্তু টানা ৫ দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় পৌষের শুরুতেই কনকনে শীতের দাপট একেবারে কামড়ে ধরেছে।

আর এই কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মানুষ। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।বিপাকে পড়েছেন উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ। কারন আর কিছু নয় পৌষ এসেছে। এসময় গ্রামগঞ্জে পিঠা-পুলি খাওয়ারও ধুম পড়ে। এ শীতকালে ফুলেরাও যেন বাড়তি আবেদন নিয়ে হাজির হয়। মৌসুমী ফুলে ভরে ওঠে বাগান। হলুদ গাধা এরই মাঝে শীতকে স্বাগত জানিয়েছে। আকাশের দিকে তাকিয়েও এখন অনুমান করা যায় শীত এসেছে।

সেখানে উড়ে বেড়াচ্ছে শীতের পাখিরা। এ উপজেলায় টানা ৫ দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শীতের তীব্রতায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে।  এদিকে গত বুধবার প্রথমদিন কুয়াশা ভেদ করে দুপুরের দিকে সূর্য উঠলেও বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার এবং রবিবার সূর্যের দেখা মেলেনি এ উপজেলায়। ফলে মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। মোটা জ্যাকেট, মাফলার ঢেকে মানুষজনকে জবুথবু হয়ে পথ চলতে এবং পথের ধারে আগুন জ্বালিয়ে আগুন তাপাতেও দেখা যায়। হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হননি অনেকেই। খুব সকালে ক্ষেতে প্রতিদিনের মতো চাষীদেরও দেখা মেলেনি।

বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোকে। বিকেলের দিকে শীতের প্রকোপ দেখা দেয় বেশি। রোদ পড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয় অসহ্য শীতের কাঁপুনি। রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা কম থাকায় অফিসে যাওয়া এবং অফিস থেকে ঘরে ফেরা মানুষগুলোর অনেকেই ধীর পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরতে দেখা যায়। এদিকে টানা ৫ দিনের এ শীতে শিশু এবং বৃদ্ধরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বিপদে। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে তারা।

বাসটার্মিনাল অফিস আদালতের বারান্দায় রাত কাটানো মানুষগুলোকে শীতের কারণে জবুথবু হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।  এসব মানুষ এখন তাকিয়ে আছেন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং প্রশাসনের দিকে। প্রতিবারের মতো হয়তো এবারও সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় তাদের গায়ে চড়বে গরম কাপড়, কম্বল।

শুভ্র মজুমদার