উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ' বি ইউনিট' ভর্তি পরীক্ষায় মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাব মূর্তি বিনষ্টকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দাবি জানায় শিক্ষক সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ শামিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের, 'বি' ইউনিটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ
মানববন্ধনে রেজিস্ট্রার তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েরর ভর্তি পরীক্ষা আমাদের অহংকার ও অস্তিত্বের বিষয়। কখনো ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি। গত কিছুদিন আগে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তা নিয়ে আমরা আশাহত। যারা তথ্য সরবরাহ করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, 'জাতির কাছে যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। একটি গ্রুপকে হেয় করার জন্য তা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ কুকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এ আশ্বাস যেন অন্যসব আশ্বাসের মত ঝুলে না থাকে।
' 'বি' ইউনিটের আহবায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, আমি এ ঘটনায় মর্মাহত। আশা করছি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্মাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই মেধাতালিকায় ১২তম হওয়ার একটি ঘটনা প্রকাশ পায়। এতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠে।
অন্য এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর ভুল করে উত্তরপত্রে নিজের রোল নম্বরের একটি সংখ্যা ভুল ভরাট করায় এ ঘটনা ঘটেছে। গত ৩০ নভেম্বর গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।