কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়ারনামা দলিল, আদালতে মামলা

মির্জাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:২৫ পিএম, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ | ১৩০৭

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি চক্রের বিরুদ্ধে জমির পর্চা, খাজনার দাখিলা ও ওয়ারিশান সনদ জাল করে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমির দলিল সৃষ্টি করে দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এঘটনায় তাসমুবা খানম বেলি নামে এক নারী বাদী হয়ে দলিল লেখকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে এক একর জমির দলিল তৈরি করা হয়েছে উপজেলার শিল্পাঞ্চলের গোড়াই মমিন নগর মৌজার।

এদিকে মির্জাপুর উপজেলা ভূমি অফিসকে ঘিরে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে জমির পর্চা, খাজনার দাখিলা ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জাল তৈরি করে দলিল সৃষ্টি করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

মামলার অভিযোগে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদরের আকুর টাকুর মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা শামস্ উদ্দিনের স্ত্রী তাসমুবা খানম বেলি তার অপর তিন বোন নাসরিন খানম এনি, ছালমা খানম মেরী ও তানিয়া খানম এলি পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে গোড়াই মমিননগর মৌজার সিএস ৫৩৫, এসএ ৯২৩ ডিপি ১৯৭১ পুরাতন ১৬৬৫, ২৯০৪, ২৯০৫, ২৯০৭, ২৯৬৫, ২৯০২ ও হাল ৮১১৩, ৫৩৬৮, ৪৩৬৯, ৪৩৭৬, ৪৩৭৮, ৪৩৮৫ নং দাগের ৪১২ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। 

গোড়াই এলাকার বাসিন্দা আবু আহাদ খান পিন্টু, একই এলাকার আজগর আলী, উথান খান, শহিদুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, রশিদ দেওহাটা গ্রামের মোস্তফা মিয়া, মির্জাপুর পৌর এলাকার বাইমহাটি গ্রামের সোহেল রানা, সরিাদাইড় গ্রামের মোজাম্মেল হক, বংশাই রোড এলাকার জিয়াউর রহমান, বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের মো. মজনু ও দলিল লেখক ইকবাল হোসেন পরস্পর যোগসাজসে উল্লেখিত দাগের জমির পর্চা, খাজনার দাখিলা ও ওয়ারিশান সনদ জাল করে গত ২৭ জানুয়ারি মির্জাপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ৫৮৭ নং পাওয়ার অব এ্যাটর্নী দলিলের মাধ্যমে উল্লেখিত দাগের এক একর জমির দলিল সৃষ্টি করে। 

জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে জমির মূল মালিকের সত্ব হরণ করে মামলার ১নং আসামী আবু আহাদ খান পিন্টু দাতা সেজে এবং মো. মজনু, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, জিয়াউর রহমান ও সোহেল রানা গ্রহীতা হয়ে ওই দলিল সৃষ্টি করেন।

পরে তারা সৃষ্টি করা দলিল মূলে তাসমুবা খানম বেলি, নাসরিন খানম এনি, ছালমা খানম মেরী ও তানিয়া খানম এলির পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৪১২ শতাংশ জমির মধ্যে এক একর জমি দখলের চেষ্টা চালায় বলে গত ২২মে আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই টাঙ্গাইলকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পিবিআই প্রতিবেদন জমা দিলে বিচারক আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারী করে আগামী ১৯নভেম্বর স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে বলে জানা গেছে। 

এ ব্যাপারে মামলার আসামী মো. মজনু বলেন ভেন্ডারকে আমরা এসএ পর্চা দিয়েছি। তিনি কোথা থেকে কিভাবে জমির পর্চা, খাজনার দাখিলা ও ওয়ারিশান সনদ ব্যবস্থা করে দলিল সম্পাদন করেছেন তা  উনিই বলতে পারবেন।