এসপি-ডিআইজিকে দেয়ার কথা বলে ওসির পরিচয়ে টাকা দাবী!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯ | ৫১২
 
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ওসি তদন্ত মোঃ মোশারফ হোসেনের পরিচয়ে মুঠোফোনে কয়েক ব্যক্তির কাছে টাকা দাবী করেছে একটি প্রতারক চক্র। 
সোমবার উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে ওসি তদন্ত পরিচয় দিয়ে এসপি-ডিআইজিকে দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে চক্রটি। এই ঘটনায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্রটিকে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।
 
জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে ০১৭৫৫-২৯৬৭৩৯  নাম্বার থেকে একটি প্রতারক চক্র ওসি তদন্তের নাম করে উপজেলার একাধিক ব্যক্তিকে ফোন করে বলে, “আমি মির্জাপুর থানার ওসি তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন বলছি, তোমার নামে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ থেকে রেহায় পেতে হলে এসপি ও ডিআইজিকে দ্রুত টাকা দিতে হবে। তুমি এখনই বিকাশ পারসোনাল রকেট এই ০১৭০১-৯৭৩৫৬৯৯ মোবাইল নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠাও। টাকা না পাঠালে রাতের মধ্যে তোমাকে ধরে এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
 
প্রতারকদের এমন ফোন কলের শিকার হয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও গোড়াই ক্যাডেট কলেজ এলাকার বাসিন্দা খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল, লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন এবং তরফপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নাছির উদ্দিন। 
 
ফোন কল পাওয়া ব্যক্তিরা জানান, চক্রটি তাদের ফোন করে ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা দাবি করে। ১০ মিনিটের মধ্যে টাকা না দিলে তাদের তুলে আনা হবে বলেও হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, এই কথা কাউকে জানালে ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেয়া হয় ওই ফোন কল থেকে।
 
ওসির পরিচয়ে ফোন পেয়ে তারা আতংকিত হয়ে পরেন। পরে বিষয়টি তারা মির্জাপুর থানার বর্তমান ওসি (তদন্ত) মোশারফ হোসেনকে জানান। 
 
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন আলোকিত প্রজন্মকে জানান,  “একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে আমার পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে। পরে ফোন কল পাওয়া ব্যক্তিরা আমাকে বিষয়টি জানায়। ফোন কল পেয়ে একজন ভুক্তভোগী আমাকে ফোনে বিষয়টি জানানোর সময়ও প্রতারক চক্রটি তাকে ফোন দেয়।
 
পরে ওই ভিকটিম আমাকে কনফারেন্সে রেখে প্রতারক চক্রের ফোন রিসিভ করে। তখন প্রতারক চক্রটি আমার পরিচয় দিয়ে তার কাছে টাকা দাবী করে। এসময় আমি নিজের পরিচয় দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রতারক চক্রের কল দাতা। তারপর থেকে নাম্বারটি বন্ধ রয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাম্বারটি নীলফামারি এলাকায় ব্যবহার হয়েছে বলে জানা গেছে। চক্রটির সদস্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।