নিরব প্রশাসন দুই স্কুল ছাত্রী বিয়ের পিড়িতে


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রশাসনের নজরে আসার পরও দুই দিনের ব্যাবধানে দুই স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ দুটি বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাল্য বিবাহের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী হলো উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী রুমা আক্তার ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. শিমলা আক্তার। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের বাইমহাটী গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে মো. বাতেন মিয়ার সঙ্গে রুমার বিয়ে হয়। গত শুক্রবার সে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যায়।
গতকাল শনিবার দুপুরে পুনরায় তাকে স্বামীর বাড়ি নিতে মেহমানেরা তাদের বাড়ি গেছেন। এছাড়া গত শুক্রবার শিমলার উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ঘুগী গ্রামের আজগর আলী শিকদারের ছেলে সেলিম আল মামুনের সাথে বিয়ে হয়। শনিবার দুপুরে ঘুগী গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তাকে আনার জন্য পরিবারের সদস্যরা গিয়েছেন।
স্কুলে গিয়ে জানা গেছে, ভর্তি রেজিষ্টার অনুযায়ী রুমার জন্ম তারিখ ২০০২ সালের ২৫ জুলাই। তবে আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া ছাত্রীটির জন্ম নিবন্ধনের সনদে (নম্বর ১৯৯৯৯৩১৬৬১৫০১৪০৫৯) রয়েছে ৩ জুলাই ১৯৯৯।
তার মা রিনা বেগম বলেন, বিয়ের কাজ আসায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ নিয়ে টাঙ্গাইলে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।
শিমলার মা সেলিনা বেগম বলেন, মেয়ে বড় হয়েছে। সেজন্য মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে ভর্তি নিবন্ধন খাতায় তার জন্ম তারিখ ৭ আগষ্ট ২০০৪ থাকলেও বিয়ের কারণে জন্ম নিবন্ধন সনদে ১১ মার্চ ১৯৯৯ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, রুমাকে বিবাহ না দিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে তার অভিভাবকদের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তারা কথা দিয়ে কথা রাখেননি। এছাড়া শিমলার কিভাবে বিয়ে হয়েছে তা তিনি জানেননা।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন জানান, বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলেন।