ঝিনাইদহে গাছ ফড়িং পোকার আক্রমন, মহাবিপাকে কৃষকরা


ঝিনাইদহে ধানক্ষেতে কারেন্ট (বাদামি গাছ ফড়িং) পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। কোন কোন মাঠে কম বেশি, এর প্রভাবে ক্ষেত নষ্টের উপক্রেম হয়েছে।
সদর উপজেলার প্রতাপপুর মাঠে কয়েকজন চাষির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে চাষিরা জানিয়েছে। ক্ষেত রক্ষার জন্য নানা ধরনের স্প্রে করে ফল পাচ্ছেনা বলে ধান চাষিরা অভিযোগ তুলেছে।
চলতি মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলায় ১ লাখ ৫ হাজার ৬৪৬ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদের করা হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানি ইউনিয়নের প্রতাপপুরের গোলাম মোস্তফা জানান, গ্রামের মাঠের দিকে তাকালে দেখা যাবে পোকার আক্রমনে কি অবস্থা সৃষ্ঠি হয়েছে। নিজের একটু ধান ছিল তা নষ্ট হতে চলেছে। তবে মোসারফ হোসেনের প্রায় দেড় বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া আব্দুস কুদ্দুস, লিয়াকতসহ একাধিক কৃষকের ধানের অবস্থা খুবই খারাপ।
ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, ধান গাছের গোড়া গুলো নষ্ঠ হয়ে গেছে। সেখান অসংখ্য পোকা রয়েছে। এরকিছু দুরেই কাঠাল গাছের নিচেই কয়েকজন চাষি বসে রয়েছে। তারা জানালেন, মাঠের প্রতিটি ক্ষেতেই কম বেশি আক্রমন দেখা দিয়েছে। কৃষকরা সমাধান পেতে বাজারের সার কীটনাশকের ব্যবসয়িদের নিকট পরামর্শ ও নানা ধরনের ওষুধ স্প্রে করছেন।
এ বিষয়ে হলিধানি ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম জানান, কোন কোন মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা গেছে। আমরা শনাক্ত করে পরামর্শ দিচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে ভেটেরিনারি কলেজের নিকট ব্রীজের দক্ষিন পাশে তাকালে মনে হচ্ছে, কৃষকরা ধান কেটে ধানের বিচুলি খাড়া করে রেখেছে। নিকটে যেতেই ভ্যপসা দূর্গন্ধ নাকে আসে।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ জানান, গত কয়েকদিনের গুমট আবহাওয়ার কারনে কোন কোন এলাকায় বাদমি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমন কম বেশি দেখা গেছে। তবে ব্যাপকভাবে নয়। আমাদের কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।