ভোলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ, নিহত ৪

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, রোববার, ২০ অক্টোবর ২০১৯ | ৬০৫

ভোলার বোরহানউদ্দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আল্লাহ ও হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে কুটুক্তির প্রতিবাদ সমাবেশে মুসুল্লিা পুলিশ সংঘর্ষে রনক্ষেত্র। পুলিশ মুসুল্লি সংঘর্ষে ৪ মুসুল্লি নিহত ও পুলিশ সহ শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গুরুতর গুলিবিদ্ধ ৮ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রশাসন নিশ্চিত করতে না পারলেও স্থানীয়ভাবে নিহতদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- বোরহানউদ্দিন পলিটেক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহীন (২১) ও স্থানীয় কওমী মাদ্রার ছাত্র মাহবুব পাটোয়ারী (১৬) গনি ও মিজান । যদিও শহর পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আহত পুলিশকে হাসপাতালে নিলেও সাধারন মানুষ বিভিন্ন ঘরে আটকা পরে আছেন। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরছে গ্রামে গঞ্জেও।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বি বিপ্লব চন্দ্রে শুভ’র ফেসবুক আইডি থেকে তার ফ্রেন্ড লিস্টের বেশ কয়েক জনের কাছে আল্লহ এবং রাসুল (সঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালা গালির ম্যাসেজ আসে। বিপ্লব চন্দ্র শুভ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্র মোহন বৈদ্দের ছেলের আইডি থেকে এই ম্যাসেজ আসাকে কেন্দ্র করে সাধারন মুসলিদের ব্যানারে রোববার সকাল ১০ টায় বিক্ষোভ ও সমাবেশের ডাক দেয়া হয়।

রবিবার (২০অক্টোবর) সকাল থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে মুসল্লিরা বোরহানউদ্দিন শহর অভিমুখে আসতে থাকে। এতে ভোলার পুলিশ সুপার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য পুলিশ মোতায়েন করেন।পুলিশ সভা সংক্ষিপ্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়ার পর পরেই সংঘর্ষের শুরু হয়।

প্রথমে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশের গুলিতে পথচারি সহ বিক্ষোভকারি আহত হন। থানা শহর এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গ্রামগঞ্জে বিক্ষোভ চলছে।

এ ঘটনায় ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এক বিপ্রিংয়ে বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। আমরা হ্যাকের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আটক করেছি। আমরা এ বিষয় নিয়ে গত রাতে স্থানীয় আলেমদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে আজ রবিবার কোন প্রোগ্রাম হবে না। কিন্তু সকাল থেকে আমাদের কাছে খবর আসে সেখানে মাইকিং হচ্ছে ও ষ্টেজ বানানো হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমরা উপস্থিত মুসুল্লিদের সাথে কথা বলেছি।

পুলিশ সুপার বলেন, আমি নিজে সেখানে বক্তব্য দিয়েছি।তারা সবাই আমার বক্তব্য শুনেছে। যখন আমি ষ্টেজ থেকে নেমে আসি তখন একদল উত্তেজিত জনতা আমাদের উপর ইট-পাটকেল ও পাথর ছুড়ে মারে। আমরা আত্মরক্ষার্থে পাশের একটি রুমে গিয়ে আশ্রায় নেই। যখন তারা আমাদের রুমের জানালা ভেঙ্গে ফেলেছে তখন আমরা প্রথমে শর্টগানের ফাকা গুলি ছুড়ি। পরবর্তীতে এতে কাজ না হওয়ায় উপরের দিকে গুলি চালায়। এত আমার জানা মতে একজন পুলিশ সদস্যের বুকে গুলি লাগে গুরুতর আহত হয়। আমরা আহত অবস্থায় যাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি তাদের মধ্যে ৩জন নিহত হয়েছে। তবে বাকী আরো থাকতে পারে সেটা আমার কাছে তথ্য নেই।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোলার বোরহনউদ্দিন শহর পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গ্রামগঞ্জে বিক্ষোভ চলমান। ভোলা সদর পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ডেকে পাঠানো হয়ে এবং আর কোন ।