মির্জাপুরে পূজামন্ডপে তুলির আচরে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৩১ এএম, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯ | ৬৫০

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ২৩৬ টি পূজামন্ডপে তুলির আচরে চলছে পূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি। সেই সাথে পূজামন্ডপ এলাকায় আকর্ষনীয় তোরন নির্মানের মধ্যদিয়ে চলছে বর্ণীল সাজসজ্জার কাজ। নিরাপত্তা এবং সম্প্রিতী বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চলছে নিয়মিত তদারকি।

আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে মির্জাপুরের পূজমন্ডপ গুলিতে রং তুলির আচরে চলছে শেষ সময়ের ব্যাপক প্রস্তুতি। এবছর মির্জাপুরে এশিয়াখ্যাত কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার নীজ বাড়ির পূজামন্ডপসহ ২৩৬টি পুজামন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিটি পূজামন্ডপে দুর্গা প্রতীমা তৈরির কাজ শেষ। রং তুলির আচরও শুরু হয়েছে। এখন চলছে রং তুলির মাধ্যমে প্রতীমার পূর্ণ রুপ দেওয়ার মাধ্যমে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। পূজামন্ডপ এলাকায় চলছে বর্ণীল সাজসজ্জা মন্ডপের প্রবেশ পথে আকর্ষনীয় তোরণ নির্মানের কাজও চলছে। সবমিলিয়ে পূজামন্ডপ এলাকা এখন সরগরম।
মির্জাপুরে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষে এবং এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষে মির্জাপুর থানার এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুজারীদের নিয়ে ইতিমধ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মির্জাপুর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রমথেশ গোস্বামী শংকর বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মির্জাপুরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতী বজায় রেখে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গপূজা হবার প্রত্যাশা করছি। পূজা চলাকালীন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের মির্জাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন পাল বলেন, দেশের উপজেরা গুলোর মধ্যে মির্জাপুর উপজেলায় সর্বাধিক ২৩৫ টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনিুষ্ঠিত হবে। পূজা চলাকালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।