ওসি সাকিলা পারভীনের মানবিকতায় বেঁচে গেল মা-ছেলেসহ ৩ জনের প্রাণ
বীরগঞ্জ থানা পুলিশের মানবিকতায় বেচে গেল সড়ক দুর্ঘটনায় রাস্তায় পড়ে থাকা মা-ছেলেসহ ৩ জন। আহত ৩ অটোযাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করালেন বীরগঞ্জ থানার ওসি সাকিলা পারভিন। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক ভাবে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্যে করে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে।
আহতরা হলেন কাহারোল উপজেলার ঢিপিকুড়া গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ জুলুফা খাতুন (৩৪), একই গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নাসরিন বেগম (৩০) এবং ছেলে মোঃ নাফিস (০২)। জানা গেছে, বুধবার সকালে পুলিশ পিকআপ নিয়ে মামলা সংক্রান্ত কাজে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে বীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ সাকিলা পারভীন।
দিনাজপুর-পঞ্চগড় সড়কের কানত্মা বানিজ্যিক খামারের সামনে দুই অটো মুখোমুখী সংঘর্ষে আহত রক্তাক্ত ৩ জন যাত্রী পরে থাকতে দেখে নিজেই আহতদের গাড়ীতে তুলে নিয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে ভর্তি করেন। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক ভাবে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্যে প্রদান ও দুর্ঘটনার বিষয়টি আহতদের পরিবারকে অবহিত করেন।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ সাকিলা পারভিন জানান, ঘটনাটি আমার থানার মধ্যে পড়ে না। তবু তাদের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রম্নত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে দেরি হলে তাদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হতনা।
আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকেই করেছি। আহত জুলুফা খাতুনের বাম হাতের বাহুর উপরিভাগ কেটে ছুটে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার অপর যাত্রী নাসরিন বেগম গুরুত্বর আহত ও তার শিশু ছেলে নাফিসের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরে সারা শরীর ভিজে গেছে।
