মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত এমপি বাতেন


মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বাতেন বাহিনীর প্রধান টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবদুল বাতেন মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কোনড়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে নামাজে জনাজা শেষে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রোববার রাতে সরকারি বাসভবন ন্যাম ভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। এদিকে প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন স্তরের হাজারো জনতা নামাজে জানাজায় অংশ নেন।
মরহুমের কফিনে প্রধান মন্ত্রী ও স্পীকারের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ,মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন। বর্ষিয়ান রাজনীতিক খন্দকার আবদুল বাতেনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের উপর স্মৃতিচারন করে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. জোয়াহেরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল ৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রমূখ।
তিনি উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের কোনোড়া গ্রামে ১৯৪৬ সালে ১৭ মে জম্ম গ্রহন করে। তার পিতা মরহুম খন্দকার সিরাজুল ইসলাম,মাতা মৃত: হাজেরা খাতুন। মরহুম খন্দকার সিরাজুল ইসলামের তিন সন্তান , তারা মধ্যে মরহুম খন্দকার আবদুল বাতেন ছিলেন মেজ। মরহুম খন্দকার আবদুল বাতেন তিনি স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন।
১৯৬৭/৬৮ সালে তিনি করটিয়া সাদত বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন ।
১৯৭০ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহন করেন এবং বাতেন বাহিনী নামে একটি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক করে। ১৯৭৯ সালে জাসদ থেকে মশাল প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করে। ১৯৮৬ সালে সর্ব প্রথম নাগরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। ১৯৯৬-২০০১ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করেন। ২০০৮ সালে প্রথম বারের মত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
আওয়ামীলীগে যোগদান করে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।