তিন বছর আগে সিমানা নির্ধারন হলেও এখন হয়নি ব্রীজ


নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশবা ময়দানের ঘাটে যমুনেশ্বরী নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য তিন বছর আগে সীমানা নির্ধারণ করা হয়, একাধিকবার মাটিও পরীক্ষা করা হয়। এভাবে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হলেও এ পর্যন্ত সেতুটি আর হয়নি। ফলে ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
রবিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কেশবা ময়দানের ঘাটে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। এ সময় সেতু পার হওয়ার সময় কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে যমুনেশ্বরী নদীর ওপর সেতু নির্মিত না হওয়ায় এলাকাবাসী বন্যার সময় প্রতি বছর নিজ অর্থায়নে সেতু নির্মান করে পারাপার হচ্ছে।
গত কয়েকবারের নির্বাচনে সদর ইউনিয়নের কেশবা, গুচ্ছগ্রাম, পুটিমারী, সশানবাজার, গদা কোরানীপাড়া, গদা ডাংগা পাড়ার স্থানীয় জনগণেরা ওই স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে ভোট প্রদান করে এলেও নির্বাচিত হওয়ার পর জনপ্রতিনিধিগণ তাদের আর কোন খবর রাখে না।
গত ২০১৪ সালে নীলফামারী ৪ আসনে জার্তীয় পার্টি থেকে আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর কেশবা ময়দানের ঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশল অফিসের লোকজন গিয়ে সীমানা নির্ধারণ ও মাটি পরীক্ষা করে। এরপর এলাকাবাসীর মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু তারপর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু আর হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবি, বর্তমান জাতীয়পার্টি তথা মহাজোট থেকে নির্বাচিত এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ময়দানের ঘাটে একটি ব্রিজ নির্মান করে দেবেন।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কেশবা, কেশবা গুচ্ছগ্রাম, গদা কোরনীপাড়া, গদা ডাংগাপাড়া, এবং পুটিমারী ইউনিয়নের পুটিমারী শ্বশানবাজার সহ ৫টি গ্রামের হাজার মানুষের পারাপারের জন্য এবং সেতুর দুই দিকে কৃষকদের কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন জিনিস পরিবহনের জন্য ময়দানের ঘাটে একটি সেতু নির্মাণ করা অত্যান্ত জরুরী।