দীর্ঘ দিন পর দেশে ফিরলেন খালেদা


চোখ ও পায়ের চিকিৎসা শেষে ৯৫ দিন পর যুক্তরাজ্য থেকে বুধবার দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বিকেল ৫টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। দুবাইয়ে আড়াই ঘণ্টা যাত্রা বিরতি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ কাইয়ুম। এসময় বাইরে অবস্থান নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারর হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ বিএনপির ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীরা।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’র উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি না থাকলেও খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে দুপুর থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় হাজারো নেতাকর্মী জড়ো হন। সড়কের দুপাশে অবস্থান নিয়ে নেত্রীকে স্বাগত জানান তারা।
খালেদা জিয়ার নামে চারটি মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যেই তিনি দেশে ফিরলেন। বৃহস্পতিবার তার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে।
চিকিৎসার জন্য গত ১৫ জুলাই লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন। তারেক রহমান স্ত্রী-কন্যা এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-কন্যাদের সঙ্গে নিয়ে ঈদ উদযাপন করেন খালেদা জিয়া। তবে লন্ডন কোনো দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর লন্ডনে মুরফিল্ড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চোখের সফর অস্ত্রোপচার হয়। এছাড়া তিনি পায়েরও চিকিৎসা নেন।