বিগত সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরিক্ষা নেওয়ায়

কেন্দ্র সচিব ও তদারকি অফিসার পরিবর্তন

হাসেম আলী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮ | ৪৫০

ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গী লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (সি) কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ায় কেন্দ্র সচিব ও তদারকী অফিসারের পরিবর্তন হলো। সেই সংগে দুইজন কক্ষ পরিদর্শক সমিরউদ্দীন ও রেহেনা খানমকে কারণ দর্শানোর পত্র দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১নভেম্বর) জেএসসি পরীক্ষায় ৪৮জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ভুলবশত ২০১৭ সালের সিলেবাস অনুযায়ী নেওয়া হয়। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের অনিয়মিত (২০১৭ সালের)প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ায় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অভিভাবকগণ ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান মাসুদ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলাব্রত কর্মকার  জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওই তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলাব্রত কর্মকারকে প্রধান করে তিন সদস্য করে বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য দুইজন সদস্য হলেন ঠাকুরগাও (ভারপ্রাপ্ত)জেলা শিক্ষা অফিসার ভুপেন্দ্র নাথ মুখার্জী ও সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী।

বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী বহুমুখী  উচ্চ  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই কেন্দ্রের তদারকী অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ।

আজ তদন্ত সাপেক্ষে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব জিল্লুর রহমান ও তদারকী অফিসার সুমন আহম্মেদকে পরিবর্তনের নির্দেশ দেন। সেই সংগে পরীক্ষা হলের কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর পত্র প্রেরণ করা হয়।

ওই কেন্দ্রের বর্তমান কেন্দ্র সচিব হলেন লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মামলুল হক। পরীক্ষা তদারকী অফিসার থাকবেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর  রহমান। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান মাসুদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও ঠাকুরগাও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলাব্রত কর্মকার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে কিছু অসংগতি পাওয়া গেছে।যার জন্য কেন্দ্র সচিব ও তদারকী অফিসারকে পরিবর্তন করা হয়েছে।সেই সংগে দুই কক্ষ পরিদর্শককে কারণ দর্শানোর পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।