পাঠকের অভাব পঞ্চগড়ের সরকারি গ্রন্থাগারে
পঞ্চগড়ে সরকারী কলেজের(এম আর)মূল ফটক দিয়ে চলাফেরা তেই পড়বে ডাঃজহির উদ্দীন সরকারি গণগ্রন্থাগার।
গ্রন্থাগারটি ১৯৯৩ সালে ৩৩ শতক জমির ওপর নির্মিত হয়েছে। ৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী পদ সৃষ্টি থাকলেও রয়েছে ৩ জন, কর্মকর্তার পদটি এখনো শুন্য রয়েছে। ৮০ জন পাঠকের আসন, বাংলা ২৮ হাজার ৫ শ’ ৯৪ টি, ইংরেজী ৩ হাজার ২৮ টি, অন্যান্য বই সংখ্যা ৬টি, পত্র-পত্রিকা, নিয়েই গণগ্রন্থাগারটি পরিচালিত।
সপ্তাহের শনি-বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। অন্য সরকারি ছুটির দিনও থাকে বন্ধ।
কিন্তু স্কুল, কলেজ অথবা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হঠাৎ প্রশ্ন করা হলে হয়তো অনেকেই চট করে ঠিকানাটা বলতে পারবে না। কারণ অবাধ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে জ্ঞান অন্বেষণের জন্য এখন আর তারা পাঠাগারে যান না।
ইন্টারনেটে বসে গুগোলে খুঁজলেই সবকিছু বের করে ফেলতে পারে অনায়াসে। তাই সরকারি পাঠাগার আছে, বহু মূল্যবান ও দুর্লভ বই আছে, কেবল পাঠক নেই!
ডিজিটাল যুগে এখন কেউ আর পাঠাগারে যায়-এমন ছুতোয় বইয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পাঠকদের। নানা সংকটের কারণে প্রযুক্তিমনা এই পাঠকদেরও বইমুখী করতে পারছে না গ্রন্থাগারগুলো।
ডাঃজহির উদ্দীন সরকারি গ্রন্থাগারের পড়ার রুমে গিয়ে দেখা যায় প্রায় চেয়ারই ফাঁকা। বিশাল কক্ষটির চার দেয়ালজুড়ে রয়েছে বই আর বই। কেবল পড়ার কেউ নেই।
পাঠক না থাকায় বইগুলোর ওপরও ধুলো জমেছে। কিছু পাঠকের আনাগোনা শুধু দৈনিক পত্রিকা পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
বইয়ের দিকে মোটেও আগ্রহ নেই। তবে বলতে গেলে অন্তিম সময়ে তারাই যেন এখন কৃত্রিম উপায়ে গ্রন্থাগারটিকে শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। ফলে পাঠকের অভাবে জৌলুস হারাচ্ছে প্রায় ২ যুগ থেকে জ্ঞানের আলো ছড়ানো ঐতিহ্যবাহী এই গণগ্রন্থাগারটি।
গ্রন্থাগার থেকে পাঠক সেবা ছাড়াও সদস্য হয়ে ১৫ দিনের জন্য বই বাসায় নিয়ে যাওয়ার সুবিধা দিচ্ছে।
গ্রন্থাগারের লাইব্রেরি ইনচার্জ লুলুমিয়া বলেন, সকাল এবং বিকেলের দিকে পাঠক কম থাকে। তবে দুপুরের সময় পাঠক ঠিকই থাকে। পাঠকের সংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পাঠকদের আকৃষ্ট করতে জাতীয় দিবসগুলোতে রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাংকন এবং সুন্দর হাতের লেখা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
